গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নীলফা গ্রামের রমজান মোল্যাকে (২৫) যশোরে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে খুন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আসা নিহতের ভাই শান্ত মোল্যা তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। তবে পরিবার বা পুলিশ কেউই এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেননি।
নিহতের ভাই শান্ত মোল্যা জানান, মাসখানেক হলো তার ভাই যশোর শহরের পালবাড়ী এলাকায় জব্বার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। যশোরে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যশোর শহরের বেজপাড়া তালতলার মোড় বাইলেন এলাকায় তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কে বা কারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শান্ত জানান, ‘বৃহস্পতিবার আছরের নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হন আমার ভাই। রাতে তার খুন হওয়ার খবর পেয়ে যশোরে এসেছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব ছিল না। যশোরে আসার আগে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় ছোলা ভুনা বিক্রি করতেন।’
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ‘এক যুবককে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ওই যুবকের বুকে, পেটে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। তার পরনে কালো রংয়ের প্যান্ট ও ছাইরঙা গেঞ্জি এবং পায়ে কালো জুতো রয়েছে। আশেপাশের লোকজন প্রথমে তাকে দেখে চিনতে পারেনি।’
শুক্রবার সকালে যশোরের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মারুফ আহম্মেদ বলেন, ‘নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তবে কারা কেন তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।’
নিহতের মা শেফালি বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের নামে কোনও মামলা নেই। একবার তাকে একবার পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল, পরে সেটি মীমাংসা হয়ে যায়।’
পরিবারের সদস্যরা জানান, রমজান যশোরে স্ত্রী ও তাদের ১৩ মাস বয়সী এক মেয়েসন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাবার নাম রবিউল মোল্যা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন