শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন বছরে হতে পারে মন্ত্রিসভায় রদবদল

কাল পূর্ণাঙ্গ কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল রুটিন ওয়ার্ক, নতুন বছরে হয়ত চমক আসতে পারে। গতকাল সচিবালয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল এটি রুটিন ওয়ার্ক। সময়ে সময়ে সাফল-রিসাফল বা পুনর্বিন্যাস হয়। নতুন বছরে হয়ত চমক আসতে পারে।
আগের কমিটিতে থাকা সাতজন মন্ত্রী এবারের কমিটিতে নেই, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলে কিছু নতুন মুখ এসেছে। দায়িত্বের পরিবর্তনও হয়েছে। সেটা দলকে আরো শক্তিশালী করার জন্য। এজন্য কাজে গতিশীলতা আসতে সাফল-রিসাফল হয়েছে। গত তিন বছর যারা দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে কাদের যে বাদ দেবো সেটি সিদ্ধান্ত নিতে বেশ কষ্ট হয়েছে। নন পারফরমার কাউকে দেখি না। ঝড়, বন্যা, ডেঙ্গুসহ এমন কোনো প্রোগ্রাম নেই যেখানে কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন না। কাউকে বাদ দেয়া ছিল ডিফিকাল্ট। এখনও উপরের দিকে কিছু পদ ও আর ওয়ার্কিং কমিটির পুরোটা ফাঁকা রয়েছে।
তিনি বলেন, পুরো কমিটি ঘোষণার পর মূল্যায়ন করা যাবে। অনেক মন্ত্রী আগের কমিটিতে ছিল এবার নেই, হয়ত ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থান পেতে পারেন। যার নির্দেশনায় পার্টি চলে তার কিছু স্ট্রাটেজি আছে, তার অভিজ্ঞতা ৩৮ বছরের। আগামী মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘাষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
কাদের বলেন, মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে একটা খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। আমি আশা করছি সেদিনই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নবগঠিত কমিটির কয়েকটি পদ যেমন সাংগঠনিক সাংগঠনিক সম্পাদক, ধর্ম সম্পাদক, শিল্প-বাণিজ্য, কোষাধ্যক্ষ এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের পদ খালি আছে। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণাও বাকি। তাই আশা করছি নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি ঘোষণা করা হবে।

দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি ফিরে আসব সেটা ভাবিনি। ফিরে আসলেও কর্মক্ষমতা পাবো তা অনেকে ভাবেনি। গত দুই তিন মাস সম্মেলনকে সামনে রেখে অনেকগুলো জেলা সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। পর পর চারদিন চার জেলায় কমিটি হয়েছে, সেখানেও ছিলাম। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। নেত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছে। আস্থা রেখে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই আস্থার জন্য আমার ঘাম-শ্রম আমি নিয়োগ করব। অনেক কাজ সামনে আছে। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনী অঙ্গীকার। নির্বাচনের আগে জাতির সামনে নেত্রী যে ওয়াদা করেছিলেন তা পূরণ করতে হবে সেজন্য আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, স্মার্ট করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কয়েক মাসে ২৯টি কাউন্সিল করেছি, আরো মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি রয়েছে। মুজিব বর্ষের আগেই জেলা উপজেলা পর্যায়ের সম্মেলন শেষ করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেজন্য আমাদের টিম ওয়ার্ক গড়ে তুলব। জেলা পর্যায়ের টিমও ঢেলে সাজানো হবে। অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার ব্যাপারে আমাদের আরো মনোনিবেশ করতে হবে। মহানগর যে কমিটি হয়েছে, তা পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনও হয়নি। সেসব কমিটির নেতাদের বিষয়ে যে রিপোর্ট আছে, সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাতে বিতর্কিত কেউ কমিটিতে স্থান না পায়। সেটি দেখে নেত্রী কমিটি অনুমোদন দেবেন।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন