শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

লিবিয়ার অনুরোধেই সেনা পাঠাবে তুরস্ক

যুদ্ধবিরতি নিয়ে এরদোগান-কায়েস বৈঠক অনুষ্ঠিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৫ এএম

রাশিয়ার উদ্বেগ সত্ত্বেও লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। উত্তর আফ্রিকার এ দেশটির অনুরোধেই এই সেনা পাঠানো হচ্ছে তুরস্ক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্যই মিলেছে। আগামী জানুয়ারিতে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নে বিষয়টি পার্লামেন্ট উপস্থাপন করবেন তিনি। মাসখানেক আগে লিবিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ফাইয়াজ আল সিরাজ সরকারের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই করেছে আংকারা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, নিরাপত্তা ও সামরিক সহায়তার, অন্যটি পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নৌসীমানা সংক্রান্ত। মাসব্যাপী লড়াইয়ে পূর্ব লিবিয়ায় খলিফা হাফতারের বাহিনীকে রুখে দিয়েছে সিরাজের জাতীয় ঐক্যের সরকার (জিএনএ)। রাশিয়া, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থন পেয়েছেন হাফতার। ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, সেখান থেকে একটি অনুরোধ আসার পর সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। পার্লামেন্ট চালু হলে এই সেনা পাঠানোর ইস্যুটি আমরা সেখানে তুলবো। প্রতিবেশী লিবিয়ার সঙ্গে একটি সম্ভাব্য অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছাতে সহযোগিতা করতে বুধবার তিউনিশিয়া সফরে যান এরদোগান। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, জিএনএকে সমর্থন দিতে তুরস্ক ও তিউনিশিয়া একমত হয়েছে। লিবিয়ায় তুরস্কের সম্ভাব্য সেনা মোতায়েন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। গত সপ্তাহে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, হাফতারকে রুশ সমর্থিত ভাড়াটে খুনিদের সহায়তা চুপ থাকবে না তুরস্ক। এর আগে এক খবরে বলা হয়, লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। বুধবার আকস্মিক সফরে প্রেসিডেন্ট এরদোগান তিউনিসিয়া পৌঁছান এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন লিবিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিউনিসিয়া মূল্যবান এবং গঠনমূলক অবদান রাখতে পারে। এরদোগান আরো বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।” এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রজব তাইয়্যেব এরদোগান তিউনিশিয়ার সফরে গেছেন। এ সফরে তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধানও সঙ্গে রয়েছেন। তবে এরদোগানের কার্যালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে তার সফরের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু বলা হয় নি। লিবিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে তুরস্ক অনেকটা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে আঙ্কারা সরকার জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে একটি সামরিক চুক্তি সই করেছে। রয়টার্স, আনাদোলু, পার্সটুডে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন