গেল ২০১৯ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এছাড়াও পণ্যমূল্য ও সেবা-সার্ভিসের মূল্য বেড়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এদিকে ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ৭ বার এবং খুচরা মূল্য ৯ বারসহ মোট ১৬ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত কনজুমার আয়োজিত ‘জীবনযাত্রার ব্যয় ও ভোক্তা স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২০১৯’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। এতে জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিসমূহ ভোক্তাদের নিকট চড়া মূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করা সত্ত্বেও উৎপাদন ও বিতরণ ব্যয় সংকুলান সম্ভব হচ্ছে না এই অজুহাতে আবার মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিইআরসি ইতিমধ্যে পিডিবি ও বিতরণ কোম্পানিসমূহের আবেদনের বিষয়ে গণশুনানি করেছে। শুনানিতে ক্যাব প্রস্তাবিত মূল্যবৃদ্ধির ন্যায্যতা ও যুক্তিযুক্ততার মানদণ্ডে অগ্রহণযোগ্যর স্বপক্ষে তথ্য উপাত্ত এবং যুক্তি উপস্থাপন করেছে। ভোক্তাদের প্রত্যাশা বিইআরসি ক্যাবের উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে মূল্যবৃদ্ধির আবেদন খারিজ করবে অথবা মূল্যবৃদ্ধির আদেশে অবস্থান গ্রহণযোগ্য নয় তা ব্যাখ্যা করবে।
ক্যাব জানায়, বিইআরসি ভোক্তাদের জন্য না ভেবে পক্ষপাতিত্ব করছে। উদ্যোক্তারা যাতে হতাশ না হয় এবং উৎসাহ পেয়ে আরও উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয় সে বিষয়ে বিইআরসির যেমন লক্ষ্য রাখা উচিত, ঠিক তেমনি ভোক্তাদের যেন অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য করা উচিত। কিন্তু তারা সে বিষয়ে লক্ষ্য না রেখে দাম বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে। আমরা মনে করছি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন