তৎকালিন বিডিআর পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হবে আজ (বুধবার)। গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেণ ডেপুটি এটর্নিজেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক। এ রায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া আসামিদের মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল বিষয়ক আদেশ থাকবে। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে নানা বিবেচনায় এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। সরকারি এই আইন কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর টানা দুই দিনে পিলখানা হত্যাকান্ড মামলায় হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের ফাঁসির রায় বহাল রাখা হয়। একইসঙ্গে ৮ জনের মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও ৪ জনকে খালাস দেয়া হয়। অন্যদিকে, এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টু হাইকোর্টের বিচার চলাকালে সময়ে কারাগারেই ইন্তেকাল করেন। পাশাপাশি বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৬০ জন আসামির মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে দুই জন আসামির মৃত্যু হয়। ১২ জন আসামিকে খালাস দেয়া হয়। এছাড়া, জজ আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ আসামির মধ্যে সরকারপক্ষের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলায় ৪ জনকে ৭ বছরের কারাদন্ড এবং ৩৪ জনকে খালাসের বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে ১৫২ আসামিকে তিনি মৃত্যুদন্ড দেন। ২০০৯ সালে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান মোট ৭৪ জন। এ ঘটনার পর বিডিআর’র নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) রাখা হয়। আলোচিত এ মামলার স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে। সকাল ১০টার দিকে রায়টি প্রকাশ করা হবে- বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন