শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সঙ্কট নিরসনের পথ নেই; জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ---মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গোটা জাতি হতাশ এবং ক্ষুব্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে যে প্রধান সংকট, সেই সংকটটা কিন্তু পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক সংকট। সেই সংকট হচ্ছে, একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে এবং সেটা ২৯ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি করে হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে জাতির একটা প্রত্যাশা ছিলো যে, উনি যেহেতু প্রধানমন্ত্রী এই সংকট নিরসনের একটা পথ তার বক্তব্যের মধ্যে থাকবে। এই নির্বাচনকে বাতিল করে দিয়ে তিনি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনা একটি নতুন নির্বাচন কথা বা তার একটা ইঙ্গিত তিনি দেবেন বা সংলাপের একটা ইঙ্গিত দেবেন। কোনটাই তিনি করেন নাই। অর্থাৎ সেই সংকটটা নিরসনের জন্য তিনি কোনোই পথ দেখাননি। একাদশ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সরকারের একবছরপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভাষনের ওপর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বুধবার বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের ওপর জনগণ ভরসা রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বক্তব্যের মধ্যে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে আশা রাখতে বলেছেন, ভরসা রাখতে বলেছেন, সেই ভরসা মানুষ কোত্থেকে রাখবে। অর্থনীতি চরমভাবে নিচে নেমে গেছে। যে অর্থনীতির বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তার ভাষণের মধ্যে, বাস্তবতা সেই ভাষণের ঠিক উল্টোটা। সবগুলো ব্যাংক ভেঙে পড়ছে। মানুষ আস্থার রাখবে কোথায়?
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বক্তব্যটা উনাদের নিজেদের জন্যে। উনার নিজের একটা আত্মতুষ্টি দেয়ার জন্যে। উনারা জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে, জনগণের ভাষা যে উনারা বুঝতে পারছেন না, জনগণের আওয়াজ যে তারা শুনতে পারছেন না-এই বক্তব্যটা তারই প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খন্ডন করে তিনি বলেন, অন্যদিকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কতগুলো বক্তব্য রেখছেন যে, বক্তব্যগুলো সত্য নয়। যেমন তিনি বলেছিলেন যে, ৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষ জরাজীর্ণ ছিলো, কংকাল সার দেহ ছিলো। সম্পূর্ণ উল্টো। তার আগে ১৯৭২-৭৫ এদেশে একটা চরম দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার কারণে, দুঃশাসনের কারণে। ’৭৫ পরবর্তি সময়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাহেবের দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে এই অবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটে এবং একটা বটমলেস বাসকেট থেকে একটা পাটি পটেনশিয়াল ইকোনমিতে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আজকের যে বাংলাদেশের অর্থনীতি তার ভিত্তিটাই রচনা করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার সেই অর্থনৈতিক রিফর্ম ও পলিটিক্যাল রিফর্মগুলোর মধ্য দিয়ে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দোষারোপ করা হয়েছে সবসময়ই বিএনপিকে যে, বিএনপি সন্ত্রাস করেছে। ভুলে গেছেন উনার ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে। সেই সময়ে বাসে ১১জন ব্যক্তিতে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং এই আন্দোলনের ফলে অনেকে নিহত হয়েছেন। তারা হত্যা করছে, তারা এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং করছে, তারা তুলে নিয়ে গিয়ে মারাছে, গুম হচ্ছে, নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে- এই জিনিসগুলো তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্যের মধ্যে আসেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:০৮ এএম says : 0
We know, the whole nation knows that you will never get anything positive in any AL leaders activities. So, we do not care what you say.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন