কুমিল্লা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ডিআইজি, এসপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ নামে এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। বিভিন্ন সময় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল কুমিল্লা পুলিশের কাছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। পুলিশ জানায়, বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদকে আটক করে পুলিশ। তার সহযোগী ও গাড়ি চালক রুবেল নামের অপর ব্যক্তিকেও আটক করে পুলিশ। ফখরুদ্দিন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হরিচর ইউনিয়নের বাকুই গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। এসময় খিলগাঁওয়ের ওই বাসা থেকে পুলিশের পোশাক, ব্যাজ, স্টিকারযুক্ত প্রাইভেটকার, কর্মকর্তাদের সীল স্বাক্ষর সম্বলিত নিয়োগপত্রসহ অফিসিয়াল নানা ভুয়া ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক ফখরুদ্দিন জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে যোগদান করেন। শিক্ষানবিশ অবস্থায় এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অপরাধে চাকরি হারায়। এরপর ২০০০ সালে সে ঢাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে তৎকালীন ডিএমপি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল এবং ৭ মাস জেলহাজতে ছিলেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, কনস্টেবল নিয়োগে কুমিল্লায় চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির নকল স্বাক্ষরযুক্ত চিঠি দেখিয়ে আশফাক আহমেদ নামে এক প্রার্থীর বাবা সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ফখরুদ্দিন। এ ধরণের প্রতারণার শিকার হয়েছেন পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি প্রার্থী রেজাউল করিম ও মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি। প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মো. আবদুল্লাহ-আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন ও তানভীর সালেহীন ইমনসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন