বর্তমান সরকার ব্যাবসা বাণিজ্যের প্রসারে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নয় দেশের সমগ্র বন্দর গুলোকে আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পযর্ন্ত রেললাইন দ্রুত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
গতকাল শনিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আয়োজনে উপদেষ্টা কমিটির ২য় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ গহিমন নেছা দাখিল মাদরাসায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেখানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া-খালেদা জিয়ারা ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করেছে। বার বার ধর্মকে ব্যবহার করেছে। তারা বলেছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে উলুধ্বনি শোনা যাবে মসজিদে। শেখ হাসিনা ১১ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে। এর আগে ৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। আপনারা কখনো উলুধ্বনি শুনেছেন? শুনেন নি। এটা তাদের ভাওতাবাজী।
নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিকেলে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনায় গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্তে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির ২য় সভায় অংশগ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, রংপুর বিভাগীয় কাস্টমস্ কমিশনার শওকত আল সাদী , জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, ১৮ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী আনিসুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্স্রাট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার) মোঃ মাসুদুল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ, আমদানী-রপ্তানীকারক এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, আমদানী-রপ্তানীকারক এ্যসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ বাবু,সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের জিএম হাবিবুর রহমান,বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সপিকুল আলম।
ব্যাবসায়ীদের পক্ষে আমদানী-রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা জানান, ভারত নেপাল ও ভুটানের সাথে ব্যাবসা-বাণিজ্যে আমাদের তেমন কোন অসুবিধা হয় না, তবে সে দেশে সাপ্তাহিক ছুটির সাথে এদেশের ছুটির মিল না থাকায় আমাদের হলি ডে চার্জ অতিরিক্ত গুনতে হয়। তাই এ চার্জ মওকুফ ও উভয় দেশের সাথে মিল রেখে হলি ডে নির্ধারনের দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন