শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চারজনকে খুন করে ঘাতকের আত্মহত্যা

ঘটনাস্থল মৌলভীবাজারের বড়লেখা চা বাগান

এস এম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল চা বাগানে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আত্মহত্যাকারীর নাম নির্মল (৪০)। সে প্রথমে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্ত্রীর বাঁচাও বাঁচও চিৎকারে মেয়েকে রক্ষায় শাশুড়ি এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। মা ও মেয়ের চিৎকারে দুই প্রতিবেশী ছুটে এলে নির্মল তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। চারজন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে ঘাতক নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্মল চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। নির্মল ছাড়া চারজনই ওই চা বাগানের শ্রমিক। গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াসিনুল হক জানান, খুনি নির্মল মাদকাসক্ত ছিলেন। হত্যার শিকার চারজন হলেন নির্মলের স্ত্রী জলি (৩৫), তার শাশুড়ি লক্ষী (৫০) পাশের ঘরের বসন্ত বাবু (৫৫), বসন্তের মেয়ে শিউলি (১৬)। নির্মলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বসন্তের স্ত্রী কানন আহত হয়েছেন।

চা বাগানের এক কর্মকর্তা জানান, নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। প্রায় এক বছর আগে জলির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। গতকাল ভোর ৫টার দিকে নির্মল ও জলির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে জলিকে মারধর করতে থাকলে জলি দৌড়ে অন্য ঘরে বাবা মায়ের কাছে চলে যান। নির্মল ধারালো অস্ত্র নিয়ে পিছু ধাওয়া করে ডলিকে কোপাতে থাকে। মেয়েকে রক্ষা করতে শাশুড়ি ছুটে এলে তাকেও কোপায় নির্মল। এরপর প্রতিবেশি বসন্ত ও শিউলি সেখানে গেলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে নির্মল। পরে চারজনের মৃত্যু হলে নির্মল নিজের ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে।

খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ ও বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিনুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেশিদের সাথে কথা বলেন। নৃশংস চার খুন ও ঘাতকের আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাগানসহ আশেপাশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Mirza Tohura Jalil ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
খুব দুঃখজনক,, তবে প্রতিবেশীদের মারা ঠিক হয়নি
Total Reply(0)
Rayhan Patwary ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
অভাব অনটনই মুল কারণ হতে পারে ।
Total Reply(0)
Mahroof Muhammed ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
Very very sad news.
Total Reply(0)
Mirza Tohura Jalil ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
বর্তমান সমাজ দেখে মনে হয় অন্ধকার যুগের মূর্খ মানুষই ভালো ছিলো,,কি লাভ হচ্ছে এতো শিক্ষিত হয়ে দিনদিন সব জিব জন্তুর হয়ে যাচ্ছে
Total Reply(0)
Moula Firoz ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
কার দোষে এমন হলো
Total Reply(0)
Suhab Ahmed ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
আইন সঠিক তত্ত্ব করা হোক তাহলে কেন এমন হয়েছে কি কারণটা বুঝতে পারবেন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন