নড়াইলের ৯৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আইন লঙ্ঘন করে প্রকাশিত ফলাফল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। অচার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ২৪ ডিসেম্বর ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩’ লঙ্ঘন করে ফলাফল ঘোষণা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিধিমারার ৭ নম্বর বিধানে বলা হয়েছে, ‘এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থী,২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।’ কিন্তু এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করা হয়নি। এর প্রতিকার চেয়ে নড়াইলের প্রার্থী মৌমিত চক্রবর্তী গত ২৩ জানুয়ারি ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। রিটের শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশ করে। হাইকোর্টে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম।
###
সাঈদ আহমেদ/১৮১
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন