মাদক নির্মূলে ছাত্র সমাজকে সোচ্ছার হতে হবে, ছাত্রসমাজ যেন মাদকের দিকে পা না বাড়ায় সে জন্য কাজ করতে কুমিল্ল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট। তিনি আরো বলেন,নৈতিকতা ও দৃঢ়তা দিয়ে দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। বিবেকের কাছে কখনও পরাজিত হবে না। এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভুলে যাবে না। তাদের শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে তোমরা শিক্ষা অর্জন করেছ। এখন সময় এসেছে সেই ঋণ পরিশোধ করার। পৃথিবির যেই প্রান্তেই থাকো তোমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে, এ দেশের মাটি ও মানুষকে ভূলে যাবে না।’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১ম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য ও প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিকেল ৩ টা ২৮ মিনিটে সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চেীধুরী। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী এমপি। এছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিবৃন্দ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটদের দেশ ও সমাজের জন্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলেছে।
সমাবর্তন বক্তা বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা এ দেশ পেয়েছি। আর তাই সবাইকে সবসময় তাকে মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক টাকার বাজেট দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এখানে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই টাকার সদ্ব্যবহার করতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে।
এবারের সমাবর্তনে পাঁচটি অনুষদের মোট ২ হাজার ৮৮৮ জন গ্র্যাজুয়েট অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী ১ হাজার ২২২ জন এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় ডিগ্রিধারী ১ হাজার ৬৬৫ জন। এদিকে শিক্ষায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের মোট ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করেন প্রেসিডেন্ট। বিকেল পাঁচটার দিকে সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন