শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আ.লীগ-বিএনপির সঙ্গে ইসির বৈঠক ‘পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:১৮ এএম

আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। দুয়েকটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর টিকাটুলিতে সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজ ভেন্যুতে ইভিএম ডেমনস্ট্রেশন প্রশিক্ষণ পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সিইসি বলেন, দুই সিটি নির্বাচন ইভিএম এ করা হবে তাই আগামী ৩০ জানুয়ারি মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে ইভিএমে ভোটদান পদ্ধতি ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হবে। ভোটারদের আমরা আহবান জানাব, আপনারা দেখেন কীভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হয়।
এদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দল গতকাল নির্বাচন কমিশনের সাথে পৃথক বৈঠক করেছে। আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিকেলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, ইসি মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়াসহ অন্য নেতারা।
এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানাতে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সিইসির সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা, ইসি মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম।
বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, দখলদারিত্ব রাজনীতির মধ্যে বিএনপি কর্মীরা আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করেছে এ কথা এখন কে বিশ্বাস করবে। নাকি বিশ্বাস করার কোনও কারণ আছে। আপনাকে মারবে আবার আপনার বিরুদ্ধে মামলাও দেবে। এটাই এখন দেশের নতুন নিয়ম। আগে পিটাবে, তারপর মামলা দেবে।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক সংস্থা সব আওয়ামী লীগের দলীয় এমন দাবি করে আমির খসরু বলেন, জাতীয় নির্বাচনে কানাডিয়ান এক পর্যবেক্ষককে ধরে আনা হলো। সে এখানে এক কথা বললেও বিদেশে গিয়ে আরেক কথা বললো। সেই পর্যবেক্ষক সংস্থার যিনি স্বত্বাধিকারী, তিনি একটি সংগঠনের সভাপতি ও আরেকটি সংঠনের প্রধান নির্বাহী। দুটি সংস্থাই কিন্তু তালিকায় আছে। দুটিরই পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও দলের লোক। আর বাকি যারা আছে তালিকায় তাদের ২২টির মধ্যে ১৮টি সংস্থার কোনও ওয়েবসাইট নেই। তারা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বলবে, খুব সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। তাদের তো এর বাইরে কিছু বলার সুযোগ নেই। ##

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন