২৬ হাজার ২৪০জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এনজিওতে কর্মরত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধে বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সীমান্টেত হত্যা বন্ধে সরকার কূটনৈতিক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিএনপির মো. হারুনুর রশিদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুর হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এনজিওতে সর্বমোট ২৬ হাজার ২৪০জন ভারতীয় কর্মরত রয়েছেন।
সরকারী দলের মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভারতে অনুষ্ঠিত বিজিবি বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে হত্যাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে বিএসএফ একমত পোষণ করেছে। আন্ত:সীমাান্ত অপরাধ ও চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকা নজরদারিতে রাখার জন্য বিজিবি ইউনিটগুলো সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকার জনগনের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের মো. নাছিমুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান জানান, সরকার জনগণের নিরাপত্তা ও আইন-শৃংখলা উন্নয়নে এবং নির্মম ও হৃদয়কে ব্যথিত করে তোলে এমন অপরাধ; যেমন নারী ও শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধে সবচেয়ে সফল। দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে র্যাবের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে সামাজিক অপরাধমুলক কর্মকান্ড উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে। একইসঙ্গে জনগণের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধিত হয়েছে ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারী দলের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দুটি দেশের সাথে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। দেশ দুটির হচ্ছে- ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন