নারী ইউপি সদস্যকে ‘দুঃশ্চরিত্র’ বলা কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকার মানহানি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। মঙ্গলবার (৪ফেব্রুয়ারী) বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত উভয় পক্ষের নিযুক্তীয় কৌশুলীদের শুনানী শেষে আসামীর অব্যাহতির দরখাস্ত না মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে একই ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য সাহানারা বেগম বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল ২০১৯ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এএইচএম ইমরানুর রহমানের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল তদন্তের আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিচার বিভাগীয় তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় আদালত অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সমন ইস্যুর আদেশ দেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩রা এপ্রিল ২০১৯ রাতে ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সালাম সিকদার নারী ইউপি সদস্য সাহানারা’র বিরুদ্ধে মান হানিকর বক্তব্য সম্বলিত তার লিখিত বক্তব্য স্থানীয় প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। এতে সাহানারা’র মান সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাকে ’দুঃশ্চরিত্র’ নারী বলে উল্লেখ করা হয়। চেয়ারম্যানের মানহানিকর বক্তব্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলনের এ তথ্য গনমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ওই নারী ইউপি সদস্য সাহানার’র ৫০ লক্ষ টাকার মানহানি হয় বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেন।
এদিকে নারী ইউপি সদস্যকে ‘দুঃশ্চরিত্র’ বলা সেই ইউপি চেয়ারম্যান সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অভিযোগ গঠনে স্বস্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয় একাধিক নারী সংগঠন।
প্রসংগত, নারী গনমাধ্যম কর্মী মাসুদা ভাট্রিকে টিভি টক শোতে ’দু:শ্চরিত্র’ বলে মন্তব্য করায় সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। সোচ্চার হয়ে ওঠে নারী অধিকার সংগঠন গুলো। এরপর মানহানি মামলায় ফেঁসে যান ব্যারিষ্টার মাইনুল হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন