স্টাফ রিপোর্টার : সুরের মধ্যে যার জন্ম, বেড়ে ওঠা সে কি চুপ থাকতে পারে? এ প্রশ্নের জবাব বোধকরি সবার জানা। তবে এ কথা তো ঠিক যে নিজেই সুর হয়ে বিচরণ করে, ভেসে বেড়ায় সে তো গাইবেই। প্রকৃতির নিয়মই তাই। সর্বত্রই সুর, ছন্দ, লয়, তালÑ অপূর্ব সম্মিলনে গেঁথে রয়েছে। তরুণ গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক প্রকৃতির এই ছন্দের পেছনেই যেন ছুটছেন। গানের প্রতি অসম্ভব ধরনের একরোখা। হতেই হবে। হওয়াচ্ছেনও। একটু একটু করে। পথটা যদিও অনেক লম্বা। তবে লক্ষ্যে অবিচল। ধীর হোক, ভিত্তি তো দৃঢ় হচ্ছে। ১৯৯৯ সালের যাত্রাটাকে এ পর্যন্ত এসে বেশ সমৃদ্ধই মনে হচ্ছে। তার কথা ও আয়োজনে ২৭টি অ্যালবামে গেয়েছেন এদেশের অনেক রকস্টার। পাশাপাশি সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে নিয়মিত অডিও ও প্লে-ব্যাকে কাজ করছেন। বোঝা যাচ্ছে, তানভীর বেশ পাকা হয়ে উঠছেন। অবশ্য অবলীলায় স্বীকার করেন, কোনো কিছুই সহজে আমি পাইনি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জন করতে হয়েছে। জীবন কোনদিন লটারি জিতিনি। ফলে হঠাৎ করে অনেক কিছু পেয়ে আমার হবে না, এটা আগে থেকেই বুঝে নিয়েছি। কাজেই পাথর ঘষে যেতে হবে। ঘষে ঘষেই এগিয়েছি। মিডিয়াতে মামা-চাচার মতো মাইল স্টোন নেই যে তার পরশে এক লাফে অনেক উপরে উঠে যাব। এ বাস্তবতা মেনে নিয়েই ঘর্ষণে ও কর্ষণে এতদূর এসেছি। তবে এটুকু বুঝি এখনো আমাকে অসীম পথ যেতে হবে। এখনো আমি তীরেই পড়ে আছি। উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটছি। হেঁটে চলেছি। দৌড়াতে চেষ্টা করছি। প্রাণপণে গতি যুক্ত করছি প্রতিদিন-প্রতিনিয়ত। গান সৃষ্টি, এর সুরের কাঁটাছেড়া, আমার নিজস্ব স্টুডিও সেলিব্রিটি সাউন্ডল্যাবে রাতকে ভোর বানিয়ে এক একটি গানের জন্ম দেয়ার চেষ্টা করছি। এই আমার আনন্দ। বেঁচে থাকা। এবারের ঈদে তানভীরের দুটি অ্যালবাম মুক্তি পাচ্ছে। সিডি চয়েজের ব্যানারে অ্যালবামগুলো আসছে। এর একটি আলিফ আলাউদ্দিনের সাথে ডুয়েট গান দোটানা এবং নিয়াজ আহমেদ অংশুর লেখা তোমার শহর আমার শহর মিলিয়ে ইপি অ্যালবাম। এছাড়া শচীন দেব বর্মণের বিখ্যাত ৪টি গানে রিমেক করেছেন তানভীর তারেক নিজে। তুমি এসেছিলে পরশু, তুমি আর নেই সে তুমি, পরদেশে, শোনো গো দখিনও হাওয়া। এই চারটি গানের সংকলনের নাম তোমার বারান্দায়। দুটি অ্যালবামই মিউজিক ভিডিও সহ বাজারে রিলিজ দেয়া হবে। পুরনো জনপ্রিয় গানের কাভার প্রসঙ্গে তানভীর তারেক বলেন, এটা আমার দীর্ঘদিনের প্ল্যান। ইচ্ছা আছে আগামী এক বছরের ভেতরে ১০০টি জনপ্রিয় বাংলা গানের কাভার করার। এটা আমার নিজের ভালো লাগা থেকেই করার চেষ্টা। পাশাপাশি নিয়মিত মৌলিক গানগুলো আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আপ করবো। এবারের ঈদ প্রসঙ্গে তানভীর বলেন, ২০১৬ থেকে গানের ব্যাপারে সিরিয়াসলি কাজ শুরু করেছি। এ কারণে একাধিক ঈদ সংখ্যায় গল্প লেখা হয়নি, ঈদের টিভি অনুষ্ঠানও খুব কম করেছি। গানটাতেই আরো বেশি সময় দিতে চাই। একাধারে বিনোদন সাংবাদিকতা, টিভি উপস্থাপনা, গল্প-উপন্যাস লেখাকে ছাপিয়ে সেই দেড় যুগ আগে মফস্বল থেকে ঢাকায় এসে যে সুর আর সঙ্গীতের পথে হাঁটা, সেটিকেও আরো বিস্তৃত করতে চান তানভীর। নিজের রেকর্ডিং স্টুডিও সেলিব্রিটি সাউন্ডল্যাব-এ নিজের গানের পাশাপাশি নিয়মিত কিছু চলচ্চিত্রের প্লে-ব্যাক কম্পোজিশনের কাজ করছেন তিনি। নিজের গানের ক্যারিয়ার নিয়ে বলেন, হারতে আসিনি-একটু একটু করেই আমার পথ তৈরি করেই আমি আমার সুরের বন্দর তৈরি করবো ইনশা আল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন