‘বেগম জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন ফিরে আসবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। এ অবস্থার মধ্যেও আমাদেরকে তার জামিনের জন্য আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের আইনজীবীরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। জামিন হবে কি করে। যেদিন তার জামিনের শুনানি হবে সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন বেগম খালেদা জিয়া রাজার হালে আছেন। একথা শোনার পর কোনো বিচারপতির পক্ষে তাকে জামিন দেয়া কি সম্ভব?’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেছেন।
আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এসব কথা বলেছেন।
দুপুর ২টায় সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চ থেকে দলের নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, তাবিথ আওয়াল প্রমুখ।
এ সময় মওদুদ আহমদ বলেন, সরকারের একদলীয় দুঃশাসন আর সহ্য করতে পারছে না। আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। বাইরে গেলে তারা জিজ্ঞেস করেন তোমাদের দেশে কি কোনো আইনের শাসন নেই? জামিন হবে না কেন? আমরা বলি, বিএনপি নেত্রী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জামিন পাচ্ছেন না। কিন্তু তারপরেও বিভিন্নভাবে সরকার বেগম জিয়াকে কারাবন্দি অবস্থায় রেখেছেন। এ অবস্থা চিরদিনের অবস্থা নয়। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিকামী মানুষ। তারা গণতন্ত্রকে ভালোবাসে তারা তাদের অধিকার আদায় করার জন্য আন্দোলন করেছে। এখনও করছে ভবিষ্যতে তারা রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আনবেই। তার মুক্তির সাথে সাথে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন