বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

বাকৃবিসাসের বাৎসরিক ফিস্ট

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাংবাদিকতা মানেই ব্যস্ততা, দম ফেলার সময় নেই। সাংবাদিকদের ছুটি বলে কোন দিনই নেই। কারণ ঘটনা কোন বিশেষ দিনক্ষণে হয় না। তারপর যদি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মতো টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে পাশাপাশি সাংবাদিকতার মহৎ দ্বায়িত্ব পালন করা যায় তাহলে তো ব্যাস্ততার শেষ নেই। তাই বলে কি সারাদিন পড়ালেখা ও সাংবাদিকতায় সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে অবস্থিত বাকৃবির সকল সাংবাদিকদের সংগঠন বাকৃবিসাস প্রতি বছরই করে থাকে বাৎসরিক ভ্রমণ ও ফিস্টের মতো (আনন্দ ও ভূরিভোজে উৎসব) আয়োজন। 

এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। বাকৃবিসাসের বর্তমান সভাপতি মো. হাতেম আলী ও সাধারণ সম্পাদক আহাদ আলম শিহাব। ফিস্ট উৎসব উদযাপনের জন্য করা হয় কয়েকটি উপকমিটি তারমধ্যে খেলাধুলা কমিটির আহ্বায়ক এসএম আশিফুল ইসলাম মারুফ, খাবার কমিটির আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, গেঞ্জি কমিটির আহ্বায়ক শাহীদুজ্জামান সাগর ছিলেন। ২১ মার্চ শনিবার ছিল বাকৃবিসাসের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ বাৎসরিক ফিস্টের দিন। ফিস্ট উপলক্ষে আগে থেকেই চলতে থাকে প্রস্তুতি। ফিস্টের আগের রাতে গভীর রাত পর্যন্ত আলপনা আঁকা, আলোকসজ্জা করা হয়। ওইদিন সকাল ৭টায় হ্যালিপ্যাড মাঠে রিমঝিম বৃষ্টির মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিনটি। এরপর বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে ফুটবল খেলা শেষে হালকা নাস্তা করে সবাই যাই ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদে। কিছুক্ষণ নৌকায় চড়ে মাঝ নদীতে নেমে পড়ি স্নান করতে। খুবই মজার ছিল মুহূর্তটা। এরপর যার যার হলে ফিরে দুপুর একটায় সবাই ফিস্টের একই রঙের গেঞ্জি পড়ে আসি। বক্সে গান ছেড়ে আড্ডা শেষে দুপুরের খাবার একসাথে খাই। আমাদের সাথে যোগ দেয় সমিতির আগের বড় ভাইয়েরা যারা আজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। একটু বিকাল হলেই হ্যালিপ্যাডে ঐতিহ্যবাহী হাঁড়িভাঙা খেলা হয় যেখানে মাত্র দুইজন হাঁড়ি ভাঙতে সামর্থ্য হয়। ফিস্টের আনন্দের সাথে হঠাৎ যুক্ত হয় মিরিন্ডা তুমুল ফান সবাই মেতে ওঠি মিরিন্ডার ফান আড্ডায় আর জিতে নেই মিরিন্ডা, ফ্লেক্সি অফার। এরপর শুরু হয় বেলুন ফুটানো খেলা। খেলা শেষে সবাই প্রকৃতির সন্ধানে বের হই ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভ্রমণে। নৌকায় গান, কৌতুক ও গল্পের আসর জমে ওঠে। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। ভ্রমণের পর সবাই সমিতিতে এসে হাজির হই। সেখানে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাকৃবির ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেনসহ উপস্থিত ছিলেন প্রক্টরিয়াল বডির অন্য সদস্যবৃন্দ। এরপর গান, আড্ডা ও ড্যান্স এর মধ্যদিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিক ফিস্ট উৎসবের। এভাবেই কখন যে পার হয়ে যায় উৎসব ও আনন্দমুখর একটি দিন।

ষ মো. শাহীন সরদার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন