শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে ইফতার আড্ডা

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, পরিযায়ী পাখির অভয়ারণ্য ও সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত দেশের একমাত্র আবাসিক ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়। প্রধান ফটক ডেইরি গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে যেদিকে চোখ যাবে সেদিকেই শুধু সবুজের সমারোহ। যেন সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা এক টুকরো সবুজের দ্বীপ। সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত ক্যাম্পাসটিতে বারো মাসই চলে বিভিন্ন সংঠনের আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসব। সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, রম্য ও গ্রামীণ বাংলার চিরায়িত নানা উৎসব নিয়ে সেলিম আলদীন মুক্তমঞ্চে মঞ্চায়িত হয় এসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আবাসিক বিশ^বিদ্যালয় হওয়ায় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা এসব অনুষ্ঠানে খুঁজে পায় বিনোদনের খোরাক।
তবে এবার বর্ষা মৌসুমে পবিত্র রমজান হওয়ায় সাজ সাজ উৎসবে মেতে উঠেছে ক্যাম্পাস। পবিত্র মাসটিকে সামনে রেখে বিভিন্ন সংগঠন এবং বন্ধুদের আয়োজনে ইফতার পার্টি ক্যাম্পাসে আড্ডার মূল আকর্ষণ। ঝুমঝুম বৃষ্টির দিনেও এর কমতি ছিল না।
বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে দীর্ঘ ৪১ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ ছুটি পেয়ে অনেকেই নাড়ির টানে ফিরে গেছেন মা-বাবার ও স্বজনের কাছে। আবার টিউশনি, পেশাগত কাজে এবং বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বে থাকার কারণে অনেকেই যেতে পারেননি। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত এসব শিক্ষার্থীই ইফতার আড্ডার প্রাণভোমরা। মেঘডাকা আকাশে বজ্রের চোখ রাঙানি ও ঝুমঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, ক্যাফেটেরিয়ার বারান্দা, টিএসসি, আবাসিক হল, টারজান পয়েন্ট ও পরিবহন চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে ইফতার ও ইফতার পরবর্তী আড্ডায় মেতে ওঠেন। প্রথম রমজান হতেই টিএসসিতে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ইফতারের আয়োজন করেন সমিতির সদস্যরা। ক্যাম্পাসের পাশে বাসা থাকা সত্ত্বেও সেই আয়োজন বাদ দেননি সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রিমি। এ সময় তার কাছে এ বিষয়ে অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রায়ই তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করি। প্রথমে এখানে ইফতার করার পর খুবই ভালো লেগেছে। তাই নিয়মিত এখানে ইফতার করতে চেষ্টা করি। পরিবারের সদস্যদের মতোই উপভোগ করি।’ শুধু রিমিই নয়, নানান ব্যস্ততা ছেড়ে এমন আয়োজনে যোগ দেন সদস্যরা।
ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কে এম রিয়াদ বলেন, ‘হলে একা একা ইফতার তেমন উৎসবমুখর হয় না। আমরা পরিবার ছেড়ে এসেছি অনেক দিন আগেই। তাই ইফতারকে আনন্দঘন করতে বন্ধুদের সঙ্গে একসাথেই করি। হাতের নাগালেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, প্রান্তিক গেট এবং বটতলায় রকমারি ইফতার সামগ্রী পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রতিটি আবাসিক হলের সামনেও পাওয়া যায় বাহারী ইফতার সামগ্রী। পিয়াজু, আলুর চপ, ডিমের চপ, বেগুনি, ছোলা, বুন্দি, জিলাপিসহ হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী উল্লেখযোগ্য। মওলানা ভাসানী হলের সামনে দুই ইফতার সামগ্রী বিক্রেতা বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী কমে গেছে। তেমন বেচাকেনা নেই। পুরনো স্মৃতিতে ফিরে যেতে এমন আড্ডায় মেতে ওঠেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। এতে নতুন মাত্রা পায় ইফতার আড্ডা।
ষ তহিদুল ইসলাম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন