আফগান সেনা সদস্যদের গুলিবর্ষণে বহু মার্কিন সেনা হতাহত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে। শনিবার দেশটির প‚র্বাঞ্চলীয় এলাকা নানগাহার প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তানে মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনা মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট জানান, নানগারহার প্রদেশে মার্কিন ও আফগান সেনাদের যৌথ বাহিনী এক অভিযান পরিচালনা করার সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়। তবে আফগান গণমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযানে অংশগ্রহণকারী এক বা একাধিক আফগান সেনা এই হামলা চালিয়েছে। কর্মকর্তারা এখন এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন যে, হামলাকারীরা আফগান সৈন্য ছিল নাকি আফগান সামরিক পোশাক পরে বহিরাগত কেউ গুলিবর্ষণ করেছে। নানগারহার প্রদেশের পদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোবারেজ খাদেম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, মার্কিন ও আফগান সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং বহু মানুষের নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আফগান কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছেন, কয়েকটি হেলিকপ্টারে করে জেলা ভবন থেকে হতাহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তিনি নিহত বা আহতদের সংখ্যা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে অজ্ঞাত দুই আফগান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ওই ঘটনায় পাঁচ থেকে ছয় মার্কিন সেনা ও ছয়জন আফগান সৈন্য নিহত হয়েছে। বর্তমানে আফগানিস্তানে ১৩ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। খবরে বলা হয়, শনিবার নানগারহার প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের বাহিনীর ‘গুরুত্বপ‚র্ণ নেতৃত্বের যৌথ প্রশিক্ষণ’ শেষে এ গুলির ঘটনা ঘটে, আফগানিস্তানে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। “আমরা এখনো তথ্য সংগ্রহ করছি। হামলার কারণ ও উদ্দেশ্য এখনো অজানা,” বিবৃতিতে বলেছেন মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট। নানগারহার প্রদেশের ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুবারিজ খাদেম এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ভিতরে থাকা ছদ্মবেশী হামলাকারীদের আক্রমণ আফগানিস্তানে নিয়মিত ঘটনা হলেও সা¤প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের হামলা হ্রাস পেয়েছিল। দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনাটি আফগান ও বিদেশি সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ঘটেছে, না কি জঙ্গি হামলা তা পরিষ্কার নয়। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত থাকা নানগারহার দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রয়টার্স, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন