শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

চট্টলার ভালোবাসায় সিক্ত দীপু

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়, ৯৯ তে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরো কত সাফল্য এসেছে! সবকিছুকে চাপিয়ে গেছে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়। প্রথমবারের মতো দেশকে বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দেয়া দলের অন্যতম সদস্য চট্টগ্রামের ছেলে শাহাদাত হোসেন দীপু গতকাল নগরীর শুলকবহরের বাসায় আসলে এলাকার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশ যুবরা চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ক্রিকেটার দীপু স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। ছয় ম্যাচে এক হাফ সেঞ্চুরিসহ দীপু মোট রান করেছেন ১৩১। স্ট্রাইক রেট প্রায় ৭৪। হাঁকিয়েছেন ১১ চার ও ১ ছক্কা।

বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে দীপু বলেন, আমাদের সবার লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন। সে সুবাদে গত দুই বছর ধরে আমরা ভালো খেলছিলাম। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে খেলেছিলাম। এশিয়া কাপেও ফাইনালে খেলেছি। কিন্তু সেই ফাইনালে ৫ রানে হেরে গিয়েছিলাম। দীপু আরো বলেন, ফাইনালে আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ছিলাম উচ্ছ¡সিত। কোচিং স্টাফ আমাদেরকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছেন। এরকম কোচিং স্টাফ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপারও। এছাড়া আমাদের টিম স্পিডও ছিল। সে সুবাদে আমরা খুব ভালো খেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।

আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে মা ফেরদৌস বেগম, বড় ভাই আবুল হোসেন বাবু আর দুলাভাই ছিলেন পাশে। প্রতিবেশী সুদীপ্ত ভাই আমাকে ইস্পাহানী ক্লাবে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। তিনি সবসময় ভালো খেলার জন্য সাহস ও সমর্থন দিয়েছিলেন। আমিও আগামীতে সাকিব ও তামিম ভাইদের মতো লিজেন্ড হতে চাই। লক্ষ্য থাকবে দেশের ১০ জন ব্যাটসম্যানের ১জন হতে। পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানাই গ্রামে বাড়ি হলেও বাবা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরির সুবাদে তাদের পুরো পরিবার ১৯৮৩ সাল থেকে আছেন নগরের শুলকবহর এলাকায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন