হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌনে দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ জনাথন মুক্তি বারিকদার (৩৪) নামের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরের কনকোর্স হলে ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জুতার তলায় লুকানো অবস্থায় ৩২ টি স্বর্ণের বার পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ৭টা ৫৫ মিনিটে দুবাই থেকে ঢাকায় আসে এমিরেটসের ফ্লাইট ইকে-৫৮২। এই বিমানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন জনাথন মুক্তি বারিকদার। বিমানবন্দরের ৭ নম্বর বোর্ড-ইন ব্রিজে এমিরেটসের এই উড়োজাহাজ থেকে যাত্রী নামানোর জন্য ডকিং করার পর জনাথন ভেতরে ঢোকেন। ঘন্টাখানেক পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষে নেমে আসেন তিনি। এ সময় উড়োজাহাজটি নিরাপত্তায় থাকা এপিবিএনের সদস্যরা জনাথনকে তল্লাশি করতে চান।
কিন্তু তিনি এপিবিএনের সদস্যদের সাথে বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। সেখানে তল্লাশি করতে না পেরে জনাথনকে বিমানবন্দর এপিবিএন কার্যালয়ে এনে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে তার পরনে দুই জুতার শুকতলায় ১৬টি করে মোট ৩২টি সোনার বার পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। মো. আলমগীর হোসেন আরো জানান, জনাথন মুক্তি বারিকদার নিজেকে সোনার চালানটির বাহক হিসেবে দাবি করেন। চালানটি উড়োজাহাজ থেকে বের করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিলে তিনি ২০ হাজার টাকা পেতেন।
আর্মড পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জনাথন জানায়, মামুন নামে তার সহকর্মী তাকে এমিরেটসের উড়োজাহাজের ভেতরই সোনার এই চালান হস্তান্তর করেন। এরপর জনাথন ওই উড়োজাহাজের টয়লেটে গিয়ে তার পরনে জুতোর শুকতলায় সুকৌশলে কালো স্কচটেপে মোড়ানো সোনার চালানটি লুকিয়ে রাখেন। বোর্ড-ইন ব্রিজ থেকে বাইরে এসে এই চালান বিমানের ক্লিনিং ইনচার্জ আতিককে হস্তান্তর করার কথা ছিল জনাথনের।
জনাথনের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলার বড় বয়রা গ্রামে। তিনি ২০১৪ সাল থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে বিমানে যোগ দেন। এর আগেও একাধিকবার এভাবে সোনা চোরাচালান করেছেন। জনাথনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের চোরাচালানবিরোধী ধারায় মামলা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন