আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ২০২০ তারিখে ভোর রাতে রাঙ্গামাটি জোনের আওতাধীন শুভলং ক্যাম্পের একটি নিয়মিত টহল নৌযানে করে বন্দুকভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় গমন করে। টহল দল আনুমানিক ০৫০০ ঘটিকায় মাইসভাঙ্গা এলাকায় অবতরণ করলে পাহাড়ের উপর থেকে ওতঁপেতে থাকা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আকস্মিকভাবে তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষন শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অতি দ্রুত অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষন করতে থাকে। বিষয়টি টহল কমান্ডার শুভলং ক্যাম্পকে অবহিত করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পীড বোটে শুভলং ক্যাম্প হতে আরও একটি টহল ঘটনাস্থলে পৌছাঁয়। প্রায় ১৫-২০ মিনিট গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সম্পূর্ণ এলাকাটির নিয়ন্ত্রন নেয় এবং তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় একজন সন্ত্রাসীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের সাথে একটি ব্যাগে রক্ষিত টেলিফোন, চাঁদার রশিদ ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল, একটি দেশীয় অস্ত্র, বেশ কিছু পিস্তলের গুলি, এলজির কার্তুজ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে নিহত এই সন্ত্রাসীর নাম অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা বলে জানা যায়। নিহত অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা এবং তার সহযোগীরা বিগত তিন থেকে চার মাস ধরে বন্ধুকভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় নিয়মিতভাবে স্থানীয় জনগনের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করত বলে তথ্য পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা ইউপিডিএফ (মূল) এর সশস্ত্র শাখার একজন কুখ্যাত সদস্য। সে ২০১৮ সালের ০৩ মে নানিয়ারচরে সংঘঠিত চাঞ্চল্যকর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম প্রধান আসামি। এজাহার অনুযায়ী অর্পন চাকমাই তার কাছে থাকা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে শক্তিমান চাকমাকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে। এ সময় শক্তিমান চাকমার মোটরসাইকেল চালকও গুলিবিদ্ধ হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখেও একই এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তর্দলীয় কোন্দলের ফলসরূপ গোলাগুলিতে সুমন চাকমা নামে ইউপিডিএফ (মূল) এর এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন