একজন মুসলিমের সবচেয়ে বড় পরিচয় হল সে আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পণকারি। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত জীবনের সর্বক্ষেত্রে সে নিঃশর্তভাবে আল্লাহর বিধান মেনে চলবে- এটাই তার চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ আজ তার আত্মপরিচয় ভুলতে বসেছে। ফলে ধর্মীয় জীবনে সে যেমন হাজারো কুসংস্কার, শিরক ও বিদআতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে, তেমনি সামাজিক জীবনে নানা বাতিল মতবাদের শিকার হয়ে ইসলামের বিশুদ্ধ শিক্ষা থেকে বহু দূরে ছিটকে পড়েছে। এমতাবস্থায় উত্তরণের একমাত্র উপায় হল আল্লাহর কাছে ফিরে আসা এবং আল্লাহর দ্বীনকে নিজের জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা।
তিনি সম্প্রতি ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও মসজিদ ধ্বংসের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্বসমাজকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত ৩০ তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমার ১ম দিনের উদ্বোধনী ভাষণে আমীরে জামাআত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সকলের প্রতি উপরোক্ত আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল সোয়া ৪ টায় দু’দিনব্যাপী তাবলীগী ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মুছল্লী ইজতেমায় যোগদান করেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মহিলাদের জন্য পৃথক প্যাণ্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়। আগামী শনিবার ফজর পর্যন্ত ইজতেমা চলবে ইনশাআল্লাহ।
সংগঠনের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইজতেমার ১ম দিনে বক্তব্য রাখেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক স¤পাদক অধ্যাপক দুররুল হুদা, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা আমানুলাহ বিন ইসমাঈল, মাওলানা মুখলেছুর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন