স্টাফ রিপোর্টার : মানুষ সব সময়ই তার শেকড়ের সন্ধান করে। এই শেকড় সন্ধান দুই কারণে করেÑ নিজের ঐতিহ্যকে জানতে, আনন্দ আহরণ করতে। একুশ শতকের এই তথ্য-প্রযুক্তির চূড়ান্ত সময়েই মানুষ তার ঐতিহ্যকে জানতে এবং বিনোদনের জন্য নিয়মিত জাদুঘরে আসে, আসছে। ১০৩ বছরের বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহেও রয়েছে বাংলা অঞ্চলের সহ¯্র সহ¯্র বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা নিদর্শন, যা দেশি-বিদেশি নানা বয়স ও নানা পেশার মানুষকে প্রতিনিয়ত আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন জাদুঘর পরিদর্শন করছে হাজার হাজার দর্শক। এখানে উল্লেখ্য যে, শুক্র ও শনিবারসহ সপ্তাহের ছয় দিনই জাদুঘর খোলা থাকে। যেহেতু এটি একটি শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, সে কারণে সরকারে সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন উৎসব ও সরকারি বন্ধের দিনেও দর্শকদের বিনোদনের জন্য জাদুঘর খোলা রাখা হয়। বিশেষ করে ঈদের দিন, পহেলা বৈশাখের দিন, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রæয়ারি শহীদ দিসব ইত্যাদি দিনগুলোতে জাদুঘর খোলা রাখা হয় এবং এই দিনগুলোতে শিশু-কিশোরদের জন্য বিনা টিকিটে জাদুঘর পরিদর্শনের সুযোগ থাকে। ফলে এসব দিনে প্রচুর পরিমাণে দর্শকের সমাগম ঘটে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে। এরই ধারাবাহিকতায় এবছরের ঈদ-উল ফিতরের পরের বন্ধের দিনেও জাদুঘর খোলা রাখা হয়েছিল দর্শকদের জন্য। দেখা গেছে, ৭ জুলাই বেলা ২:০০টা থেকে রাত ৮:০০টার মধ্যে জাদুঘর পরিদর্শনে এসেছিল রেকর্ড সংখ্যক মোট ১৫,৪৪৯ জন দর্শক। এরমধ্যে টিকিটের বিনিময়ে ৮,৮২৪ জন এবং বিনা টিকিটে শিশু-কিশোর ও প্রতিবন্ধি দর্শক ছিল ৬,৬২৫ জন। নানা শ্রেণির এই দর্শক সমাগমে জাদুঘর প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে উঠে। উল্লেখ্য ৯ জুলাই অফিস খোলার দিনেও জাদুঘরে রেকর্ড ছাড়িয়ে দর্শক সমাগম হয়েছে প্রায় ১৬ হাজারের মতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন