সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তামিম ‘স্পেশাল’, ‘বিশ্বজুড়ে সম্মানিত’ কঠিন করে জেতার ইতিবাচক দিক দেখছেন মাশরাফি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

তামিম ইকবাল নিজে বললেন, ‘আমি জানতাম, বড় কিছু আসছে।’ বাঁহাতি তারকার নিজ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাকে দিলেন ‘স্পেশাল’ খেলোয়াড়ের তকমা। আর প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক শন উইলিয়ামসও বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানের প্রশংসায় মেতে জানালেন, তামিম ‘বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত সম্মানিত’। এই সবকিছুর মূলে রয়েছে তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। কেবল নিজের নয়, ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন ড্যাশিং এই ওপেনার। অবশ্য আগের রেকর্ডটিও ছিল তারই দখলে।
গতপরশু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বস্তির শতক তুলে নেন তামিম। স্বস্তিরই বটে! গেল বছরের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে ফর্ম আর ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে ভীষণ চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি। মাঝে জাতীয় দল থেকে স্বেচ্ছায় নিজেকে সরিয়েও নিয়েছিলেন। ইনিংসের শুরু থেকে ৪৬তম ওভার পর্যন্ত উইকেটে থেকে তামিম করেন ১৫৮ রান। ১৩৬ বলের নান্দনিক ইনিংসে মারেন ২০ চার ও ৩ ছক্কা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৪ রানের নাটকীয় জয়ের পর ম্যাচসেরার পুরস্কার অবধারিতভাবেই ওঠে তার হাতে।
ম্যাচশেষে তামিমের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন দুদলের অধিনায়ক। মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি, তামিম আমাদের “স্পেশাল” খেলোয়াড়। সে রান করে খুশি হয়েছে, এটা ভালো দিক। তার আশেপাশের সবাই ভালো ব্যাটিং করেছে এবং এটা দেখতে ভালো লেগেছে।’ আর উইলিয়ামস জানান, ‘আমি মনে করি, এটা দুর্দান্ত একটা ইনিংস ছিল। সে দুর্দান্ত গতিতে রান করেছে। উইকেট দুইরকম গতিসম্পন্ন ছিল, সন্ধ্যার চেয়ে বিকালে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। তামিম সতিই একজন ভালো খেলোয়াড় এবং বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত সম্মানিত। সে রান করুক বা না করুক, বাংলাদেশ দলে তার উপস্থিতি গুরুত্বপ‚র্ণ।’
তামিমের এই স্তুতিও কাষ্ঠ কণ্ঠে বলতে হতো যদি না ম্যাচটি হেরে যেত বাংলাদেশ। ৩২৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ইনিংসের অর্ধেক পর ৪ উইকেটে ১০৬ করেছিল জিম্বাবুয়ে। নিশ্চিতভাবেই তারা ছিল বড় হারের সামনে। অথচ ডোনাল্ড তিরিপানোর ব্যাটে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের খুব কাছেই চলে গিয়েছল তারা। সফরকারীরা থামে ৩১৮ রানে। সহজ ম্যাচ কঠিন করে মাত্র ৪ রানে জেতার মাঝেও ইতিবাচক দিক দেখছেন মাশরাফি। রোমাঞ্চ ছড়িয়েই হয়েছে মীমাংসা। ম্যাচ শেষে এরকম জম্পেশ লড়াইয়ের ভালো দিকটা ধরা পড়েছে অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘ভালো হয়েছে এটা যে এই ধরনের কঠিন জয়, কাদের বিপক্ষে সেটা মুখ্য নয়, এ ধরনের কঠিন জয়, অনেক সময় বড় ম্যাচে সাহায্য করে। কোন ধরনের পরিস্থিতিতে নার্ভ কিভাবে কাজ করে, বোঝা যায়।’
অনেকগুলো উইকেট তোলে নেওয়ার পরও মাঝের ওভারে জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন সিকান্দার রাজা, ওয়েসলি মাধেভেরে। মাশরাফি জানান ওই সময়টায় ব্যাটসম্যানদের থিতু হতে সহায়তা করেছে শিশিরও, ‘যখন ওদের রান ১৪০ ছিল, সিকান্দার রাজা ব্যাট করছিল। অনেক শিশির পড়ছিল। উইকেটে গ্রিপ করছিল না। বল ব্যাটে আসছিল ভালো। বোলারদের শক্তির জায়গাগুলো কাজ করছিল না। আমার কাছে মনে হয়, এটা সমস্যা হয়েছে। আজ (পরশু) শিশির বেশি ছিল। উইকেট ১০ ওভারের পর আরও বেশি ব্যাটিং বান্ধব হয়ে গিয়েছিল।’
শেষ দিকে দুই পেসার শফিউল ইসলাম আর আল-আমিন হোসেনকে বেদম চার-ছয় পেটান জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। মিরাজের ওভার বাকি থাকলেও অধিনায়ক তার হাতে বল দিতে পারেননি শিশিরের কারণে, ‘মিরাজের সামনে দুজন সেট ব্যাটসম্যান ছিল। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিল, চার্জ করার সুযোগ বেশি ছিল। তাইজুলের সমস্যা হচ্ছিল। ওরা যেটাই চার্জ করছিল ডাউন দ্য উইকেটে এসে, ভালো সংযোগ হচ্ছিল। কারণ বল গ্রিপ করছিল না।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন