কবি ও জনপ্রিয় কলাম লেখক, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেছেন, গণতন্ত্রের আকাঙ্খা পাকিস্তানিরা পদদলিত করতে চেয়েছিল বলেই এই ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিদ্রোহ করেছিলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন সেই গণতন্ত্র আজ কোথায়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতা আন্দোলন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সোহরার হাসান বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণের প্রধান তাৎপর্য হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। এ ভাষণের তাৎপর্য বুঝতে আমাদের এত দেরি হলো কেন। এ ভাষণ কোন ব্যক্তি বা দলের ভাষণ নয়, বরং এরসাথে ৭ কোটি বাঙালীর আবেগ, অনুভূতি জড়িত।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম। এতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ভাষা ছিলো ২টি। দৈনিক ও কথক। এতে তিনি ৩ বার মুক্তি ও ১ বার স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি মুক্তির কথা বলেছেন তবে স্বাধীনতার কথায় জোর দিয়েছেন। এটা ছিলো অলিখিত ভাষণ, যেটা মনে এসেছে তিনি সেটা বলেছেন। তার সারাজীবনের আন্দোলন ছিলো এ ভাষণের ব্যাকগ্রাউন্ড। সেখানে তিনি যদি স্বাধীনতা ঘোষণা করতেন তাহলে সারা বিশ্বের কাছে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত হতেন। তিনি ভাষণে সারা বিশ্বের কাছে করণীয় কি সেটা বলেছেন। তিনি ৭ই মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা যুক্তিযুক্ত উল্লেখ করে এটাকে সমর্থন জানান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্তের সঞ্চলনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সভাপতি ওমর ফারুক, সহ সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূইয়া প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন