শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাংলাদেশে মোদির আগমনের প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২০, ৬:০০ পিএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আগামী ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা শাখা ও ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের আয়োজনে শহরের হাটখোলা জামে মসজিদের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের প্রায় হাজার হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা দিল্লিতে মুসলমানদের উপর অত্যাচার ও মসজিদ জ্বালিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে মোদির বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। মিছিলটি শহরের সদর রোড হয়ে নতুন বাজার চত্বরে গিয়ে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভের পূর্বে শহরের হাটখোলা জামে মসজিদের সামনে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলার সহ সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী , ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলার উপদেষ্টা মাওলানা মজিব উদ্দিন, মুফতি আহমদ উল্লাহ, সুগ্ম সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আব্দুল মমিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা ইউছুফ আদনান, ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইব্রাহিম খলিল, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহা. হাসেম প্রমূখ।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। মোদির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে গুজরাট, কাশ্মীর দিল্লীসহ অনেক রাজ্যে মুসলমানদের গন হত্যা করা হয়েছে। চরম নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হয়েছে। তাই যার হাতে এখনো মুসলিম গণহত্যার দাগ লেগে আছে বাংলাদেশে তার উপস্থিতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিবে না।

বক্তারা আরো বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর যেভাবে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে তা পরিস্কার রাষ্ট্রীয় নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। শুধু ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতায় ৫০ জনের অধিক মুসলমান নিহত হয়েছে। মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদে আগুন দেয়া হয়েছে। খুঁজে খুঁজে মুসলিমদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করা হয়েছে। এর পরও যদি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি আসে তাহলে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান কলংকিত হবে। প্রয়োজনে কাপনের কাপর নিয়ে বিমানবন্দর ঘেড়াও করা হবে। তবু খুনি মোদিকে মসজিদের নগরী ঢাকায় আসতে দেয়া হবে না। শুধু তাই নয়; যারা তার পক্ষ নিয়ে কথা বলবে তাদেরকেও উচিত জবাব দেয়া হবে বলে হুসিয়ারি দেন বক্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন