স্থানীয় নেতাদের পর কেন্দ্রীয় নেতারাও সরে যেতে বললেন। তবে তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহীরা সরছেন না। তারা এখনও অনঢ় অবস্থানে আছেন। রোববার বিকেল পাঁটার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মাত্র দুই জন তাদের মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আরও শতাধিক বিদ্রোহী এ রির্পোট লেখার সময় পর্যন্ত নগরীর লাভ লেইনে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসমুখী হননি।
দুপুরে চট্টগ্রাম এসেই সার্কিট হাউসে দলের নেতাদের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়বাদুল কাদের। সেখানে চসিক নির্বাচনের সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে নেতারা বের হয়ে এলেও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানান নি। জানা গেছে বৈঠকে শেষবারের মতো বিদ্রোহীদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়। বিকেলের মধ্যে যারা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
চসিকে ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৫ জনকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ, তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় শতাধিক বিদ্রোহী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দলের পক্ষ থেকে আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলা হলেও বিদ্রোহীরা অনঢ়। রিটার্নিং কমকর্তার অফিস সূত্র জানায় আড়াইটা পর্যন্ত ১০ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন তাদের মধ্যে সরকারি দলের বিদ্রোহী মাত্র দুই জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন