করোনাভাইরাস মহামারী সংক্রমণের ঝুঁকি। সবারই মাঝে শঙ্কা আর আতঙ্ক। আর তা মাথায় নিয়েই গতদিনের মতো চসিক ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জড়ো করে ভোটের প্রশিক্ষণ চলছে আজ শনিবারও ! এমনকি সেখানে স্যানিটাইজারসহ কোনো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
এদিকে করোনায় ঝুঁকি-আতঙ্ক মাথায় প্রশিক্ষণ চললেও চট্টগ্রামবাসী এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ সকালের মাঝে ঘুরেফিরে ওই একই জিজ্ঞাসা। করোনাভাইরাস দুর্যোগের ভেতরে ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ভোট ভোট কাণ্ড-কারখানা থামবে তো? করোনায় দেশের দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তরফ থেকে এ ভোটকাণ্ড বন্ধ, বাতিল কিংবা স্থগিতের ঘোষণাটি কখন দেওয়া হবে? কী চিন্তাভাবনা হুদা কমিশনের?
নাকি আজকের উপনির্বাচনের মতো করোনাভাইরাস আতঙ্ক দুর্যোগ ঠেলেই চসিকে ভোট চালিয়ে নেওয়া হবে? পথেঘাটে চাটগাঁর লোকজন বিরক্তি, ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করছেন। আর অনেকেই বলছেন 'বন্ধ হোক ভোটের নামে নাটক রসিকতা'। চট্টগ্রাম মহানগর ঘুরে আজও এ নির্বাচন নিয়ে কারও কোনরকম আগ্রহ দেখা যায়নি।
এদিকে চসিক ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং, পোলিং কর্মকর্তাদের আগের সিডিউল অনুযায়ী নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে জড়ো করে ভোটের প্রশিক্ষণ চলে আজও। এ সময় সবারই চেহারায় অজানা আতঙ্ক ও ভীতির চাপ দেখা গেল।
নগরীর কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এরকম পরিবেশে সাংবাদিকগণ আরও দেখেন, বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী নিজ নিজ দায়িত্বে মাস্ক ব্যবহার করছেন। খুব কম সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থী হাতে গ্লাভস ব্যবহার করছেন। তাছাড়া হাতকলমে এ প্রশিক্ষণের জন্য ইভিএম স্পর্শ করে ব্যবহারের আগে যে হাতে গ্লাভস ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা বলা হয়েছিল তা কিছু ছিল। বেশিরভাগ ছিলই না।
এ সময় প্রশিক্ষণার্থীরাই বললেন, আমরা নির্বাচন পরিচালনার করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থা কই? স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস দেওয়ার কথা। সেগুলো পেলাম না তো।
গ্লাভস ও স্যানিটাইজার নেই। অথচ সবাই একই মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দিচ্ছে। করোনা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইভিএমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি নিশ্চয়ই আছে।
এ অবস্থায় চরম আতঙ্ক ও আশঙ্কা ঝুঁকির মাঝেই চলছে চসিক ভোটের প্রশিক্ষণ। এতে হাজারো অংশগ্রহণকারী ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতা দৃশ্যত অসহায়।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ৭৩৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয় গতকাল শুক্রবার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন