শিক্ষকের স্বাক্ষর নকল ও তথ্য গোপন করে নিয়োগ বোর্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগের তিন শিক্ষককে শোকজ করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে তার নিজ ভাইকে নিয়োগ দিতে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এরপর ওই বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গর্হিত অন্যায় ও নৈতিকতা বিরোধী কাজ উল্লেখ করে তাকে নিয়োগ বোর্ড থেকে অব্যহতি ও সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কালো তালিকার্ভূক্ত শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে উল্লেখ করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এ ধরণের আচরণে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক। এতে ইবির বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীকে আপাদমস্তক অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সেচ্ছাচারিতায় নিমজ্জিত এবং ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাচিত কমিটির সদস্যদেরকে কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী উল্লেখ করেন তারা। গত ৬ মার্চ অভিযোগ পত্রে আইসিটি বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমানের স্থলে ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিনের স্থলে বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, এসকল অভিযোগের গ্রহনযোগ্য প্রমানসহ বিষয়টি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বরাবর পেশ করার জন্য বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন