পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক ও কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিসাধন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তারেক মাহমুদ কে লিখিত ভাবে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত। বুধবার (১৯আগষ্ট)বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত এ আদেশ জারী করেন। একই সাথে বিজ্ঞ আদালত মামলায় গ্রেফতারকৃত দু’আসামীর বয়স ও অসুস্থ্যতা বিবেচনায় তাদের তিন দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
প্রদান করেন।
আদালত সূত্র জানায়, বুধবার সাবমেরিন ক্যাবল লাইন কেটে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত দু’আসামীর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য ছিল বিজ্ঞ আদালতে। এতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার এস আই তারেক মাহমুদ(বিপি-৮২১৪১৭৪৫৩২) যথাসময়ে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে অধিক সময় বিলম্বের জন্য লিখিত ভাবে কারন দর্শাতে বলেন। আদালতের জিআরও এএসআই মুনসুর আহমেদ এ আদেশের সত্যতা স্বীকার করেন।
এর আগে সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ১০ আগষ্ট সোমবার বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ১৫ (১) ও (৩)
ধারায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এর পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শিক্ষক আবুল হোসেন মোল্লা ও ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে মহিপুর থানা পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে দু’আসামীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এদিকে ৯ আগষ্ট রোববার দুপুরে কোন রকমের অনুমতি ছাড়া মহিপুর থানার আলীপুরের গোড়াআমখোলা পাড়া গ্রামে পাউবো’র বেড়িবাঁধের পাশে অবৈধভাবে এস্ককাভেটর
দিয়ে মাটি কেটে জমি ভরাট করতে গিয়ে প্রায় দুই মিটার গভীরে থাকা সাবমেরিন ক্যাবলের (এসইএ-এমই-ডব্লিউ-৫) পাওয়ার সাপ্লাই অপটিক্যাল ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে সারা দেশের গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যবহারে ধীর গতির সমস্যায় পড়েন। খবর পেয়ে রাতেই বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রায় ১১ ঘন্টা ইন্টারনেট সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন থাকার পর রাত সাড়ে ১২টার পর ছিড়ে ফেলা পাওয়ার সাপ্লাই লাইন সংযোগ স্থাপন করেন প্রকৌশলীরা। এরপর স্বাভাবিক হয় ইন্টারনেট সরবরাহ।
প্রসংগত, বাংলাদেশে ২০০৫ সালে প্রথম সাবমেরিন কেবল ’সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয়। এরপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন
ক্যাবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের মাধ্যমে ’সি-মি-উই-৫’ সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়। এর মাধ্যমে সাউথ ইষ্ট এশিয়া-মিড সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইট(জিবি) গতির ব্যান্ডউইথ পায় বাংলাদেশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন