কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে সড়কের পাশে রাখা স’মিলের গাছের চাপায় মো পলাশ (৯) এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। ঘটনায় শাহিন (১০) নামের অপর এক শিশু আহত হয়েছে। ঘটনার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও নিহতের পরিবারের লোকজন ছমিলের মালিক আবুল কালামকে দায়ী করছে।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে চৌধুরী বাজার এলাকার আবুলের ছমিলের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত পলাশ মুছাপুর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের নাছির উদ্দিনের ছেলে। সে চৌধুরী বাজার কেজি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। আহত শাহিন একই এলাকার কামরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌধুরী বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে থাকা আবুলের ছমিলের গাছের উপর উঠে খেলতেছিল পলাশ ও শাহিন। কিছুক্ষণ পর গাছ গড়িয়ে পড়লে গাছের নিছে চাপা পড়ে আহত হয় পলাশ ও শাহিন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শাহিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের চাচা মো সুজন অভিযোগ করে বলেন, আবুল নিজের ক্ষমতা বলে ছমিলের গাছ একটি জনবহুল সড়কে পাশে অবৈধভাবে রেখেছে। সে কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা করছেনা।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহিন জানান, সড়কের পাশে গাছ থাকার কারনে প্রায় সময় দূর্ঘটনা ঘটছে। মিলের মালিক আবুলকে একাধিকবার গাছ সরানোর জন্য নির্দেশ দিলেও সে গাছগুলো সড়কের পাশেও রেখেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন