বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাবে ক্রমেই বাড়ছিল টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার চাপ। সিদ্ধান্ত নিতে চার সপ্তাহ সময় নিয়েছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। তবে প্রবল চাপের মধ্যে এর অনেক আগেই পৌঁছেছে সিদ্ধান্তে। আগের দিন জাপানের সংসদ অধিবেশনে এ নিয়ে প্রথম বারেরমতো শঙ্কার কথা বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তার একদিন বাদেই আনুষ্ঠানিভাবে এলো টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা।
প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে ২০২০ অলিম্পিক এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি গতকাল এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের এই সময় মাঠে গড়াতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছাড়া আর কখনোই শান্তিকালীন সময়ে অলিম্পিক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা পিছিয়ে যাওয়ার নজির নেই। করোনাভাইরাসে পৃথিবীময় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় এমন নজিরবিহীন ঘটনাই ঘটতে যাচ্ছে। আগামী ২৪ জুলাই জাপানের রাজধানী টোকিওতে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ ক্রীড়া আসর। এটি পিছিয়ে যাওয়ায় জাপান ৬ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। এরই মধ্যে সব ভেন্যু প্রস্তুত হয়ে গেছে। আয়োজনের অনেক কিছুই রয়েছে শেষ পর্যায়ে। এ ক্ষতি মেনে নিয়েই অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী, ‘আমি অলিম্পিক এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান টমাস বাখ এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে শতভাগ একমত।’
অলিম্পিকের আসর অতীতে নানা ধরনের বাধার মুখে পড়েছে। এতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। অনেক দেশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করেনি। গণবিক্ষোভও দেখা গেছে নানা সময়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪০ ও ১৯৪৪ সালের অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু অলিম্পিকের আসর পিছিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এখনো পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৬ হাজার মানুষ। কয়েক লাখ মানুষ আক্রান্ত এ ভাইরাসে। গত বেশ কয়েক দিন ধরেই অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার কথা উঠেছিল।
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের আঘাতে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পিছিয়ে গেছে আগামী জুন-জুলাইয়ে হওয়ার কথা থাকা ফুটবলের কোপা আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন