বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সখিপুরে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে

সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২০, ৭:৫৬ পিএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে সকল বাজারের ওষুধ,কাঁচামাল ও মুদি দোকান বাদে সব ধরনের দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। অন্য উপজেলার কোনো পরিবহণ ও লোকজন সখিপুর উপজেলার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্য উপজেলা থেকে সখিপুর ঢোকার সীমান্তের ২৫টি স্থানে সড়কে বাঁশের বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। সখিপুর থেকে কেউ যেন না যেতে পারে আর না ঢুকতে পারে এজন্য প্রবেশ ধারের ওই ২৫ স্থানে সার্বক্ষণিক পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে।পুরো উপজেলা অবরোদ্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ বুধবার থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা। মঙ্গলবার রাতেই সভার সিদ্ধান্ত উপজেলার সব মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মাসে ৬৪৭জন প্রবাসী ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৩২৭জনকে হোমকোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। অনেককেই পাসপোর্টের ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছে না। প্রবাসীরা কোয়ারেন্টিন মানছেন না। ইতিমধ্যে ১০-১২জনকে জরিমানাও করা হয়েছে। অধিকাংশ প্রবাসী নিয়ম না মেনে অবাধে বাজারে ও ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি করায় এ অঞ্চলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে পুরো সখিপুর উপজেলাকেই কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টায় সখিপুর পৌরশহরের প্রাণ কেন্দ্র তালতলা চত্বরে দেখা যায়, জনসমাগম নেই বললেই চলে। কোনো প্রয়োজন ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। ওষুধের ও মুদি দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি সন্দেহভাজন লোকজনকে দেখা মাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সখিপুর থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদিউজ্জামান বলেন, উপজেলার সব বাজারের দোকানপাট, চলাফেরা বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরোবে না। অন্যদিকে অন্য উপজেলা থেকে কেউ যাতে সখিপুরে না ঢুকতে পারে সেজন্য ২৫টি সীমান্ত পয়েন্টে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পয়েন্টের রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আমির হোসেন বলেন, লক ডাউন নয় তবে পুরো সখিপুর উপজেলাই কোয়ারেন্টিনে থাকবে। উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, আজ থেকে লোকজনের চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় সখীপুর হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। লোকজন হাসপাতালে না এসে টেলিফোনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করবে।

সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা স্বদেশ প্রতিদিন কে বলেন, করোনাভাইরাস যাতে সংক্রমিত না হয় এজন্য সভায় সকলের সর্বসম্মতি ক্রমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং সখিপুর উপজেলার সকল জনসাধারণকে নিরাপদে রাখতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এক কথায় পুরো সখিপুরকে নিয়ন্ত্রণের চাঁদরে ঢাকা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন