অবিস্মরণীয় সে কণ্ঠস্বর জাতির জনক কে নিবেদিত
সেই কণ্ঠস্বর একদিন আমাদের এই ধুলোমাটির পরিচিত আঙ্গিনা থেকে উঠে আসে, উঠে আসে ঘাসের সুবজিরা আচ্ছাদিত একটি বাড়ির পবিত্র মাতৃকোল থেকে তার অস্ফুট ধ্বনি তরঙ্গ বাতাসের মর্মর থেকে শব্দ কেড়ে নিয়ে অরণ্যের গভীরতা থেকে স্তব্দতা কেড়ে নিয়ে ভরাট হয়ে ওঠে সে কণ্ঠস্তবক,- দিনে দিনে পাপড়ি মেলে পত্র পুষ্পে সৌরভে গৌরবে কখনো সে কণ্ঠ মুক্তাদানার মতো কণ্ঠে কণ্ঠে দোলে- কখনো সে কণ্ঠস্বর উত্তাল সমুদ্র ঢেউ থেকে উঠে আসে, কখনো উঠে আসে সুকঠিন পাহাড়ের বুকফাটা অগ্নি-প্রজ্বলন থেকে কখনো সে কণ্ঠধ্বনি ইথারের তরঙ্গে তরঙ্গে শব্দময় এক নভোচারী পাখি হয়ে যায়।
এ কণ্ঠধ্বনি এ বাংলায় এক মহাকাব্য হয়ে অমরতা পায়- এ কণ্ঠধ্বনি শব্দময় হয়ে কখনো দুখী বাংলার পর্ণ কুড়ে থেকে সুরম্য প্রাসাদে স্থান পায়-
অজেয় সে কণ্ঠধ্বনি অরণ্যসাগরে নক্ষত্র নীলিমায়, ধানক্ষেত, নদীনালায়, সূর্যরশ্মির সহস্র শারক, মেঘমাল্লারে কখনো বজ্রদহনে মেঘ রোদের নিসর্গে আমাদের নিবিড় করে কাছে টানে-কাল থেকে কালান্তরে অনিঃশেষ অবিস্মরণীয় সে কণ্ঠস্বর যার ক্ষয় নেই, মৃত্যু নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন