শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

খেলোয়াড়দের পুষ্টি ও নিরাপত্তায় চোখ মানিকের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২০, ৭:২৯ পিএম

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে বর্তমানে সব মানুষই এখন ঘরে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের সব দেশের মতই বাংলাদেশেও খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। খেলা বন্ধ কিংবা ছুটি থাকলে যে কোন কোচের চিন্তার বিষয় থাকে তার খেলোয়াড়দের পুষ্টি ও নিরাপত্তার দিকেই। এই দু’দিকেই চোখ ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের প্রধান কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের। খেলা বন্ধ থাকার কারণে শেখ জামালের ক্যাম্পও বন্ধ। শুরুর দিকে নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে ক্যাম্প চালিয়ে গেলেও পরে তা বন্ধ করে দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে খেলোয়াড়দের মতো কোচ মানিকেরও সময় কাটছে ঘরবন্দী হয়ে। ছুটি পেয়ে স্থানীয় সব ফুটবলার যে যার বাড়িতে অবস্থান করলেও দলের ছয় বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছেন শেখ জামালের ধানমন্ডিস্থ ফ্ল্যাটে। এরা হলেন- সলোমন কিং, এবু কানেথ, এমিল সাম্বু, সেইনে বোজাং, ইউসুকে কাতো ও ডেভিড ব্রুস। মাঠের অনুশীলন বন্ধ থাকলেও খেলোয়াড় সবার জন্যই কোচ মানিকের রয়েছে কড়া নির্দেশনা। তিনি সবাইকে বলে দিয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পাওয়া ছুটিতে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

আতঙ্কের মাঝে কেমন কাটছে দিন, সময় কাটাচ্ছেন কিভাবে? এসব বিষয় জানতে বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘আতঙ্ক থাকলেও সচেতন থেকে অন্য সবার মতো ঘরে বসেই সময় পাড় করছি। বউ-বাচ্চাদের সময় দিচ্ছি। এছাড়া উপায় তো নেই। ম্যাচের ভিডিও দেখে সময় পাড় করছি। ঘরের মধ্যেই বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটছে। অন্যসময় তো তাদের এত সময় দিতে পারি না। এখন পারছি। বাচ্চারা এ কারণে খুব খুশি।’

বিদেশি ফুটবলার যারা ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে রয়েছেন তাদের জন্যও নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান মানিক। তার কথায়,‘ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাটে আমাদের ছয় বিদেশি খেলোয়াড় আছে। তাদের বলেছি সচেতন থেকে ঘরের ভেতরেই যতটা সম্ভব স্বাভাবিক অনুশীলন করতে। বাইরে বের হওয়া পুরোপুরিই নিষিদ্ধ। ঘরে থেকে ফিটনেস লেভেল হয়ত সেই পর্যায়ে ধরে রাখতে পারবে না তারা। কেননা ইনডোরের অনুশীলন পর্যাপ্ত নয়। যখন নতুন করে শুরু হবে তখন আমাদেরও প্রি-সিজনের মতোই শুরু করতে হবে।’

মানিক আরো বলেন,‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কারো কিছু করার নাই। বিদেশি খেলোয়াড়দের মতো স্থানীয়দেরও ঘরেই থাকতে হবে। আগে ছুটি পেলে ওরা দাওয়াত খেয়ে বেড়াত, এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করে সময় পার করতো। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। এখন তাদের নিউট্রিশন নিয়ে ভাবা উচিত। কেননা, ক্লাবে থাকলে তারা যে নিউট্রিশন পেত, গ্রামে বা ঘরে থাকলে হয়ত সেটা তারা পাবে না। তাই তাদের জন্য কড়া নির্দেশনা- নিজের পুষ্টি এবং নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে হবে সবাইকে। সচেতন থাকতে হবে এবং ঘরের বাইরে যাওয়া চলবে না।’

ছুটিতে থাকা খেলোয়াড়দের পুষ্টির বিষয়টি এখন তাদেরই ভাবতে হবে বলে মনে করেন ৫২ বছর বয়সী এই কোচ। তিনি যোগ করেন,‘আমি মনে করি এই দুর্যোগ কেটে যাবে। ইনশাল্লাহ আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবো।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন