শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনা আক্রান্ত ৪৮ জনে নেই প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের কেউ

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২০, ৯:১৪ পিএম

অপ্রতিরোধ্য করোনা দাপটে অসহায় মানবজাতি। ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় আসমানী ফায়সালর অপেক্ষা চলবে কেবল নীরবে সরবে। মানুষের একক, সংগঠিত, ভৌগলিক, জাতি স্বত্তার তাবৎ শক্তিমত্তাকে ধূলিতে মিশিয়ে দিয়ে গোটা বিশ^কে ঘোর অন্ধকারে ধুকে ধুকে অনিশ্চিত যাত্রায় জিম্মি করে রেখেছে করোনাভাইরাস। উদ্বেগ-আতংক, সহ অসহায়ত্বের সকল বিশেষণ করোনা ভাইরাসের তান্ডবের নস্যি হয়ে গেছে। করোনার মরনঘাতি ধাক্কা বৈশ্বিক পরিমন্ডলের মতো প্রবাসী অধ্যূষিত সিলেটকে নেতিয়ে রেখেছে। নগর, উপজেলা ছাড়িয়ে গ্রামের আমনজনতার নিকট করোনা আতংক। দৈহিক-মানসিক জীবন শক্তির উপর চাপিয়ে রয়েছে সন্দেহ, অবিশ^াস। চিরায়িত সর্ম্পক ছিন্ন করে আপনজান বাঁচাতে ব্যকুল সকলেই। সরকারের সিদ্ধান্তে সব ব্যস্ততা এড়িয়ে ঘরেই অতিবাহিত করছে সিলেটের মানুষ। এতে করে শৃংখলিত একটি ধাপে বাচার চেষ্টায় এককাতারে সবাই। করোনা অনিশ্চিত ঘোর অন্ধকারের মধ্যে সিলেটের এখনো কেউ আক্রান্ত হননি। মানুষের মনোবল অটুটে বিরাট এক ইতিবাচক প্রভাব এ খবর। সারাদেশে আজ শুক্রবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮জন। এছাড়া গত দুই থেকে সিলেটে করোনা ঝুঁকির কোন রোগী পাওয়া যায়নি। এতে করে স্বস্থির নি:শ^াস চোখে মুখে মানুষের। প্রবাসী অধ্যূষিত হও্য়ায় করোনা ঝুঁকিতে সিলেটে, এমন বার্তায় শংকিত ছিলেন সর্বস্তরের মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলেটের কারো এ রোগ ধরা না পড়লেও সবাইকে সচেতনতার বিকল্প নেই। সরকারি নির্দেশনা অনুসরনে শেষ পর্যন্ত নিরাপদে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সামাজিক দূরত্ব, পারস্পরিক নিরাপদে অবস্থান অবশ্যই রাখতে হবে। ডাক্তাররা বলছেন, এ রোগ বেশিরভাগ সময়ে পরে ধরা পড়ে। সুস্থ দেখা যায়, কিন্তু এ রোগের জীবাণু হয়তো বহন করছেন আশপাশের কেউই। জানা গেছে, এই পর্যন্ত ৬ জনের করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রাথমিকভাবে লক্ষণীয় হয় সিলেটে। একজন ছাড়া বাকি ৫ জনের রিপোর্ট ছিল নেগেটিভ। এর মধ্যে দিয়ে সিলেটের কারো শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, কোয়ারেন্টিনে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে এক জন এবং হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রয়েছেন এক জন। শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করোনা সন্দেহের এক ব্যক্তির রিপোর্ট চলে এসেছে। তার শরীরে উপস্থিত ঘটেনি এই ভাইরাসের । যেকোনো হাসপাতাল ত্যাগ করবেন তিনি। তবে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হবে। এছাড়া হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এক আনসার সদস্য স¤প্রতি ঢাকায় গিয়েছিলেন। তার একজন রিপোর্ট এখনো আসেনি। আনসারের এই সদস্যের গায়ে শুধু জ্বর রয়েছে বলে জানান তিনি । তবে ডা. আনিসুর রহমান বলেন, এই আনসার সদস্য বিদেশী কারো সংস্পর্শে যাননি। অপরদিকে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মৌলভীবাজারের এক দম্পতি সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাদেরকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে পাঠানো হয়।প রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বামীকে কোয়ারেন্টিনে রেখে স্ত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা ঐ ব্যক্তির শরীরের ঘাম, রক্ত ও মুখের লালার প্রয়োজনীয় নমুনা আজ (শুক্রবার) সংগ্রহ করে ঢাকায় জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো পাঠানো হয়। আগামীকালই (শনিবার) তার রিপোর্ট চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন