করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে লোকজনকে ঘরে থাকার কঠোর নির্দেশনা দিলেও মানছেন না অনেকেই।
জনসমাগম ঠেকাতে পৌর কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য হাট-বাজার বন্ধ ঘোষণা করলেও সরেজমিনে গতকাল দেখা গেছে, মারমা বাজারের দোকান সাজিয়ে পসরা নিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা ও কৃষকরা। বিশেষ করে পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যএসপ্রু মার্কেট থেকে শুরু করে মধ্যমপাড়াস্থ মারমা বাজারে লোকজনের উপস্থিতি বেশি ছিল। আবার মারমা বাজারস্থ কোন স্থানীয় দোকানদারদের দোকান খুলে মালামাল বেচা-বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পৌর কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিলেও কাউকে মনিটরিং করতে দেখা যায়নি।
জানা গেছে, পর্যটন জেলা বান্দরবান শহরে যুগযুগ ধরে রোববার ও বুধবার সাপ্তাহিক হাট-বাজার হয়ে আসছে। এই হাট-বাজার বান্দরবান জেলার সবচেয়ে বড় হাট-বাজার। সদর, রুমা, থানছি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙ্গালী কৃষক উৎপাদিত নানা কাঁচামাল ও পণ্য বিক্রির উদ্দেশে শহরের হাট-বাজারে আসেন। এসব পণ্য ক্রয় করতে জেলার বাইরে থেকেও ব্যবসায়ীরা আসে। অনেকে আসেন পরিবার-পরিজনের জন্য বাজার করতে। গণজমায়েত বন্ধ ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় গত ২৬ মার্চ পৌর মেয়র এসব হাটবাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকালও সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লোকজনকে ঘরে থাকতে, গণজমায়েত না করতে, ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য মাইকিং করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও সেনাবাহিনীর টহলরত সদস্যরা মাইকিং করে লোকজনকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করার জন্য সর্তক করে। এসময় বাজারে অবস্থানরত যাদের মাস্ক নেই তাদেরকে বাজার থেকে চলে যেতে বলা হয়।
বান্দরবান পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী হাট-বাজারে দোকানপাট খোলা হচ্ছে, লোক জমায়েত হচ্ছে বিষয়টি তাকে অবগত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। যদি এ রকম হয় তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন