তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা: বাঁচাও পঞ্চগড়, বাঁচতে চাই, দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক চাই, এই স্লোগান নিয়ে বাঁচাও পঞ্চগড়-এর আয়োজনে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘণ্টাব্যাপী গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। গণজমায়েতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার হাজারও মানুষ অংশ নেন।
বাঁচাও পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সভাপতিত্বে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ বাচ্চু, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন প্রধান, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হাসিনুর রশিদ বাবু, পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম কাজল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ সময় বাঁচাও পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক আনোয়ার সাদাত সম্রাট সাত দফা দাবি পেশ করেন। পঞ্চগড় জেলা শহরসহ সড়ক মহাসড়কের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাইপাস সড়ক নির্মাণ, দ্রæত ১৮ বর্ডার বিজিবি গেট থেকে হেলিপ্যাড বাজার পর্যন্ত রোড ডিভাইডার নির্মাণ ছাড়াও বাংলাবান্ধা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার বা স্থানে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, রোড ডিভাইডার নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আধুনিক স্প্রিড ব্রেকার নির্মাণ, ১৮ বর্ডার বিজিবি গেটে থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, যত্রতত্র সকল প্রকার যানবাহন পার্কিং বন্ধ ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করণ, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ বদলি চালক দ্বারা মহাসড়কে ট্রাক চলাচল বন্ধ, পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তা পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রসিং স্থাপন এবং শহরে ব্যাটারি চালিত অটোবাইক-ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা। আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব দাবির সমর্থনে কাজ শুরু করা না হলে বাঁচাও পঞ্চগড়ের পক্ষ থেকে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ছয়জন এবং আহত হয় ২০ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন