শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

অসহায় মানুষের পাশে সংগীত শিল্পী মমতাজ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

গেলো ৩১ মার্চ থেকে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস’এ কঠোর সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজেরই একটি জনপ্রিয় গানের সুরে বাউল সম্রাজ্ঞী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ‘মাইনা যায় নিয়মটা মাইনা যায়’ গান নিয়ে সবার সামনে আসেন। দেশব্যাপী এই গানটি এখন প্রতিনিয়ত প্রচার হচ্ছে। আর তাতে করে করোনা ভাইরাস’র সংক্রমন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আরো অধিক সচেতন হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের প্রতিটি শহর, গ্রামের সাধারণ মানুষও। এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বলা যায় প্রায় সবধরনের যান চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ, কর্মহীন, দু:স্থ ও দিনমজুর বেশ খারাপ সময়ের মধ্যদিয়েই দিনানিপাত করছেন। তাদের কথা ভেবেই মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কর্মহীন, দু:স্থ, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সাহায্য করে আসছেন। যখন থেকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশে শুরু হয়েছে তখন থেকেই মমতাজ বেগম তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। মূলকথা অভাবগ্রস্থদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মমতাজ। এরইমধ্যে তার নিবেদিত এই কাজের জন্য তার সাংসদীয় এলাকায় বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন মমতাজ। নিজস্ব সাংসদীয় এলাকার চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের কাছেও সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন এবং নির্দেশনাও দিচ্ছেন যেন সময় নষ্ট না করেই সবারমধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। গেলো ৩ এপ্রিল সিঙ্গাইরে নিজে উপস্থিত থেকে তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন। মমতাজ বলেন,‘ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি আমাদের হাতেই। ঘরে থেকে সুরক্ষিত থাকুন, ভালোবাসার মানুষদের সুরক্ষিত রাখুন। আমি আপনাদের খোঁজখবর রাখছি সবসময়ই এবং করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন, দুস্থ, দিনমজুর ও অভাবগ্রস্থদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাাহ। ’ মমতাজ আরো জানান যদি কেউ সাহায্য না পেয়ে থাকেন তাহলে স্থানীয় প্রতিনিধিদের জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন তিনি। প্রতিনিধির কাছে জানানোর সাথে সাথে সাহায্য পৌঁছে দেবার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ’ মমতাজ তার গানে গানে সচেতন হওয়ার আহবান করছেন। মমতাজ বলেন, ‘ আমরা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের লোকেদের, ডাক্তারদের দোষ ধরি। অথচ এই সময়টাতে তাঁরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। তবে এটাও ঠিক, কাজ করতে গেলে ভুল হয়, ভুল সংশোধনের সুযোগও দেওয়া উচিত। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদিনই খোঁজ নিচ্ছি, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই প্রতিদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। পুলিশদের জন্য নিজ উদ্যোগে পিপিই কিনেছি। এদিকে ঘরে থাকতে অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। সময় কাটছে না। কিন্তু তারপরও আর কয়েকটা দিন যেন আমরা ঘরে থাকি। বাঙালিদের স্বভাব আড্ডা দেওয়া, গল্প করা। এসব থেকে এক-দুই সপ্তাহ বিরত থাকি। নিজে ভালো থাকি, অন্যদের ভালো থাকতে সাহায্য করি। যাদের খাবারের অভাব আছে, আমরা খেয়াল রাখছি। অন্যরা সবাই যেন তার পাশের মানুষের দিকেও খেয়াল রাখে। আমরা কেউ যেন ঘরের বাইরে ডেকে এনে লোক দেখিয়ে সহযোগিতা না করি। যাদের সহযোগিতা করতে চাই, ঘরে গিয়ে নীরবে যেন সেরে আসি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন