২৭ বছর বয়সেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। ওয়াহাব রিয়াজ নিয়েছেন অনির্দিষ্ট সময়ের বিরতি, যেটিকে একরকম অবসরই বলা যায়। যে সময়টায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুজন, তা একদমই পছন্দ হয়নি ওয়াকার ইউনুসের। এতদিন পরও পাকিস্তানের দুই বাঁহাতি পেসারের সিদ্ধান্তের সময়টা নিয়ে ক্ষোভ ফুটে উঠল পাকিস্তানের বোলিং কোচের কণ্ঠে।
পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে দুই পেসার অমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই বিরক্ত ওয়াকার। গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে নিজের সিদ্ধান্ত জানান আমির, আগস্টের শুরুতে ওয়াহাব।
অভিজ্ঞ এই দুই পেসারকে হারানোর পর কঠিন সফরে জন্য নতুনদের তৈরি করার যথেষ্ট সময় ছিল না দলের। বাধ্য হয়েই নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ মুসার মতো দুই তরুণকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল পাকিস্তান। দুজনই প্রতিভার ঝলক কিছুটা দেখিয়েছেন। দারুণ কোনো পারফরম্যান্স করার বাস্তবতা ছিল না। পাকিস্তান দুটি টেস্টই হারে ইনিংস ব্যবধানে।
সে সময় আমির-ওয়াহাবের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে। মিসবাহ-উল-হক, ওয়াসিম আকরামরা সরাসরিই সমালোচনা করেছেন নাম ধরে। এভাবে দলকে কঠিন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাররা যাতে ফেলে না যেতে পারেন, এজন্য একটি নীতিমালা তৈরির প্রস্তাব ওঠে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকেই। প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। তবে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার বলছেন, নীতিমালা তৈরির এখনই সময়, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ঠিক আগ মুহুর্তে তারা আমাদের ছেড়ে গেছে এবং আমাদের কাছে একটাই উপায় ছিল তরুণদের নেওয়া। ম্যানেজমেন্টে নতুন ছিলাম আমরা এবং বেশকিছু তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে যাওয়া ও তাদের গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিলাম। ক্রিকেটাররা কোনটি খেলবে বা খেলবে না, সেটি নিয়ে নীতিমালা তৈরির কথা এর আগে বলেছিল মিসবাহ (প্রধান কোচ)। তারা কোনটি খেলতে চায়, তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। কিন্তু তার পরও একটি প্রক্রিয়া থাকা উচিত যেটার আওতায় সবাই থাকবে। ব্যাকআপ খেলোয়াড় তৈরির পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে কিংবা প্রক্রিয়ায় কাউকে না রেখে এভাবে শেষ মুহ‚র্তে খেলোয়াড়দের চলে যাওয়া কখনোই হওয়া উচিত নয়।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন