রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কাপাসিয়ায় নারায়ণগঞ্জ ফেরত নার্সের মৃত্যু, নমুনা সংগ্রহ, বাড়িতে লাল পতাকা

গাজীপুর সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩২ পিএম

কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের উলুসারা গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টায় নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক মেডিকেল কর্মীর( নার্স) মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যু করোনা ভাইরাসের কারণে হয়েছে কী না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, তাঁর জ্বর বা সর্দি–কাশি ছিল না।

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুস সালাম সরকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম সেলিম আকন (২৫)। সে উলুসারা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।

এলাকাবাসী জানায় , নিহত সেলিম আকন মঙ্গলবার বিকেলে মাঠে ক্রিকেট খেলেছিলো। সে এলাকায় সকলের সঙ্গেই একসাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতো। তবে তার মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ চোখে পড়েনি।

নিহতের পিতা সুরুজ আলী বলেন, ঢাকার একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিকে মেডিকেল কর্মী (নার্স) হিসেবে চাকরি করতো সেলিম আকন। সারাদেশে করোনা বাড়তে থাকায় ২২ দিন আগে সে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসে। এরপর থেকে সে বাড়িতে আছে। মঙ্গলবার রাতে আমরা একসাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে থাকি। হঠাৎ রাত ১২টার দিকে তার বুকে ব্যথা উঠে। পর সে স্ট্রোক করে মারা যায়। তবে তাঁর জ্বর বা সর্দি–কাশি ছিল না।

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সালাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমাদের স্বাস্থ্য কর্মী পাঠানো হয়েছে। নিহত যুবকের ও তার পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। নিহত সেলিম আকনের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে সে স্ট্রোক করে মারা যায়। তবে তাঁর জ্বর বা সর্দি–কাশি ছিল না। সতর্কতামূলক নিহতের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার জন্য বলা হয়েছে।

'ওই যুবকের দাফন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী করা হবে। নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর এ পাঠানো হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা'।

কাপাসিয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসমত আরা বলেন, নিহত যুবক ও তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর এ পাঠানো হবে। পরীক্ষার ফলাফল এলে বলা যাবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না।

তিনি আরো বলেন, আপাতত ওই বাড়িতে লাল পতাকা দেয়া হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়রেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয় হয়েছে।
এলাকায় এই মৃত্যু নিয়ে ভয় ও আতংক বিরাজ করছে। নিহতের পরিবার বলছে তার করোনার উপসর্গ ছিলনা। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের অনেকেই করোনা উপসর্গের কথা বলছেন। তবে নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন