গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় করোনার উপসর্গ সন্দেহে ২ দিনের ব্যবধানে এ পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন হলো যুবক ও অপর জন মধ্যবয়সী নারী।
কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের উলুসরা গ্রামে নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরত আসা এক মেডিকেল কর্মীর (২৭) করোনা ভাইরাসের উপসর্গ সন্দেহে মৃত্যু হয়েছে। ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে পরিবারের দাবী তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ ছিলো না। স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানান। এ দিকে মেডিকেল কর্মীসহ তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ ইসমত আরা জানান।
তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের এরই মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এবং তাদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানাযায় , ওই স্বাস্থ্যকর্মী (নার্স) ২১ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। তিনি সেখানে একটি বেসরকারি মেডিকেলে কাজ করতেন। সে ঢাকার মীরপুরের একটি প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে পাস করে নারায়ণগঞ্জে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শিক্ষানবিশ স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে কাজ করছিল। সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সে কিছুদিন আগে কাপাসিয়ার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া গত ৬ এপ্রিল সোমবার সকালে কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের তরগাও পূর্ব পাড়া গ্রামে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে । ওই মহিলার স্বামী, সন্তান সহ পরিবারের লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে দেয়া হয়েছে। ৩ দিনের ব্যবধানে কাপাসিয়া উপজেলায় এক যুবক ও এক মধ্যবয়সী নারীর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন করোনা উপসর্গের কারণে তাদের মৃত্যুর হয়েছে বলে মনে না করলেও এলাকার লোকজন বলছেন ভিন্ন কথা। স্থানীয়রা বলছেন তাদের মধ্যে ঠান্ডা- সর্দি ও শ্বাস কষ্ট ছিলো। তবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। দুটি বাড়িতেই লাল পতাকা টাঙ্গানো হয়েছে। এ দুটি মৃত্যু নিয়ে কাপাসিয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ভয়, আতংক দেখা দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন