বলছি, রাজশাহীর মেয়ে শারমিন সুরাতুজ্জোহরার কথা। বাবা-মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে তিনিই প্রথম। বাবা পেশায় ব্যবসায়ী আর মা গৃহিণী। ছোটবেলা থেকেই শারমিন চুপচাপ স্বভাবের। লেখাপড়ায় তেমন অগ্রগতি না করতে পারলেও, তার পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তি তাকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের চূড়ায়।
রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে বিএ অনার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি ওয়েব ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে আছেন।
সে খুব মজার বা আবেদনময়ী নারী না হলেও ব্যক্তিগতভাবে তিনি সবসময় নতুন কিছু করতে চেষ্টা করেন। ফেসবুক গেম এবং অন্যান্য দেশের ওয়েবসাইট দেখে আমাদের দেশী স্টাইলে ফেসবুকে মজার অ্যাপস (ংযধৎসরহ.সব) বানিয়ে ফেসবুক ব্যবহাকারীদের বিনোদন দেয়ার চেষ্টা চালান এবং সফল হন। শুধুমাত্র মজা বা ফ্রিল্যান্সিং এবং ব্যক্তিগত কিছু আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্যই এই ওয়েবসাইট তিনি তৈরি করেন।
তার আবেগ পরবর্তীতে একটি ভিন্ন চেহারার ওয়েবসাইটের সঙ্গে তার যোগসূত্র ঘটায়। সে ফেসবুক অ্যাপস তৈরি করতে ভালোবাসে। তার প্রকল্পগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ আয় ৬০০০ ডলার এবং প্রতিটি ৬ পৃষ্ঠার ওয়েবসাইটের জন্য ৫০০ ডলার নেন। তবে সে প্রায়ই মার্কিন ভিত্তিক ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করেন।
মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি একজন প্রো ডেভেলপার হিসেবে রিী.পড়স নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে তার তাড়া না থাকলেও, পরিশ্রমী ইচ্ছাশক্তি তার আবেগের সাথে মিশে তাকে অন্য ভুবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি রিী দ্বারা ২০১৫ সালে প্রায় ২০০ এর বেশি ওয়েবসাইট তৈরি করতে সক্ষম হন।
তার প্রবল ইচ্ছা গুগল অ্যাডসেন্স এর বাণিজ্য থাকবে পাশাপাশি নিজেস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকবে, যেখানে বিনামূল্যে ডিজাইন এবং ওয়েবসাইট উন্নয়ন শেখানো হবে।
শারমিন মনে করেন বাংলাদেশে সব কিছু যেমন পেপ্যাল, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি সহজলভ্য নয় আর তার থেকে বড় কথা এদেশে যে সকল আইটি সেন্টার আছে তা থেকে কোন কিছুই ভালো মত শেখা যায় না। তাই সরকারের উচিত শুধুমাত্র ব্যবসার চিন্তা না করে সকলের ভালমত শেখার ব্যবস্থা করা এবং গুগল অ্যাডসেন্স, পেপ্যাল ব্যবহারে অনুসমর্থন করা। এতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুবিধা হবে।
ষ এস এম আহমেদ মনি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন