দেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা সেতুর ২৯তম স্প্যান (৪-এ) পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১১টার সময় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর ফলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চণের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পদ্মা সেতুর ৪ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো। আর ১২টি স্প্যান বসানো হলেই সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, রোরববার সকাল ৮টার দিকে স্প্যানটিকে মাওয়ার কাছে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে করে নিয়ে খুঁটির সামনে রাখা। সোমবার সকাল ৭টা থেকেই স্প্যানটিকে পিলারের উপর বসানোর কাজ শুরু হয়। তিনি বলেন সংশোধিত সিডিউল অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বর এর মধ্যে সবকটি স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও আগস্টের মধ্যে বাকি স্প্যান বসানো যাবে। তিনি আরো জানান, করোনার কারণে পুরো প্রকল্পটিই আইসোলেটেট রাখা হয়েছে। এখানকার দেশি-বিদেশি কর্মীরা নিরাপদে রয়েছে। ভেতরে ও করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ হচ্ছে।
জানা যায়, মাওয়া প্রান্তে ২০টি স্প্যানের মধ্যে ১০টি, পদ্মা নদীর মাঝে ১টি এবং জাজিরা প্রান্তে ২০টির মধ্যে ইতিমধ্যে ১৮টি স্প্যান বসানো শেষ হয়েছে। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৯টি স্প্যান দেশে পৌঁছেছে তার মধ্যে ২৯টি বসানো সম্পন্ন হলো। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১০টি স্প্যান ওয়েল্ডিং, আ্যসেম্বলিং ও পেইন্টিং এর কাজ চলমান রয়েছে। সর্বশেষ ২টি স্প্যানের ২৩০টি নোড/কর্ড অংশের মধ্যে ১৯৩টি ইতিমধ্যে চীন হতে মংলা বন্দরে পৌঁছেছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে তা মাওয়ায় পৌঁছবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অবশিষ্ট ৩৭টি নোড/কর্ড চীনে তৈরী শেষে শিনহোয়াংডাও বন্দরে লোডিং হচ্ছে এবং আগামী ৫ মে এসব মালামাল ভর্তি নৌযান বাংলদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পৌঁছবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন