শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজধানীমুখী যাত্রীর ঢল

দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া ঘাট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২০, ১২:০৫ এএম

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট ঢাকামুখী শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। তিল ধারণের ঠাঁই নেই ফেরি ঘাট আর রিকশা-আটো স্ট্যান্ডে। গত ১০ দিনের ঢলকেও হার মানিয়েছে গতকাল ঢাকামুখী শ্রমিকদের চাপ।
শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরিতে করে আসছে শত শত ঢাকামুখী শ্রমিক। শপিং মল ও মার্কেট খুলে দেয়ার ঘোষণায় এসব যাত্রীরা দক্ষিণবঙ্গের নিজ বাড়ি হতে লকডাউন ভেঙে ঢাকামুখী হতে শুরু করেছেন। প্রতিটি ফেরিতেই শত শত লোক পার হয়ে আসছে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে। এখানে এসেও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই যানবাহনের স্ট্যান্ডগুলোতে। ফেরিতে যেমন চাপাচাপি আর গাদাগাদি করে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছেন এখানে এসেও একই অবস্থা যানবাহনের জন্য।
বাস না থাকায় অটোস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঢাকা যাওয়ার জন্য তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তবে বাস না পেয়ে আজও আটো, টেম্পু, নসিমন, করিমন, মাইক্রো, থ্রি হুইলার, ইয়েলো ক্যাব, রেন্ট-এ-কার ও শত শত মোটরসাইকেলে এসব যাত্রীদের ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। উবার বন্ধ থাকায় উবারের মোটরসাইকেলগুলো এখন শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকায় প্রতিনিয়ত অফলাইনে যাতায়াত করছে। যারা সিঙ্গেল যাত্রী তারা মোটরসাইকেলে ঢাকায় চলে যাচ্ছেন। তবে এ পথে ঢাকায় যেতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সিরাজুল কবির জানান, ঘাটে সকাল থেকে ঢাকামুখী মানুষের ঢল দেখা গেছে । নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন ছুটছে ঢাকার কর্মস্থলে।
বিআইডাব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে দিনে চার থেকে পাঁচটি ও রাতে সাত থেকে আটটি ফেরি চলাচল করছে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় ঢাকামুখী চাপ বেশি দেখা গেছে। প্রতিদিনই যাত্রী বাড়ছে।
এদিকে, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটেরও একই অবস্থা। অনির্দিষ্টকালের লকডাউন চললেও তা মানছেন না দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রীরা। গতকাল সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে শত শত যাত্রীকে ফেরিতে উঠতে ও নামতে দেখা গেছে। এছাড়া ঘাটে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি চাপ রয়েছে ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের।
দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পুরোপুরিভাবে ২৫ মার্চ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ওইদিন থেকেই জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারে সীমিত আকারে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়। সেই সুযোগে ঢাকায় গার্মেন্টস খোলার অজুহাতে গত এক সপ্তাহে ধরে যাত্রীরা দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে আসা যাওয়া করছেন। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ থাকলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ফেরি চলাচল করলে যাত্রীরা পারাপার হবেই। যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করেন ঘাট ইজারাদার।
বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে দুটি বড় ও চারটি ছোট ফেরি চলাচল করছে। পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন