শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কেরানীগঞ্জে ৪০দিনে আক্রান্ত ৩৪৯জন, করোনা ঝুঁকিতে কয়েক লক্ষ মানুষ

কেরানীগঞ্জ(ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২০, ৫:৫৬ পিএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে গত ৪০দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৯জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ৯জনের। এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮জন। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে এখানকার কয়েক লক্ষ মানুষ। দেশের উপজেলা পর্যায়ে করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে কেরানীগঞ্জ এখন শীর্ষে অবস্থান করছেন।এতেও সাধারন মানুষের টনক নড়ছে না। দেদারসে তারা রাস্তা-ঘাটে চলাফেরা করছে। অসচেতনভাবে বাজারে ও মার্কেটগুলোতে গিয়ে ভীড় জমাচ্ছেন। সেখানে তারা কোন সামাজিক দুরুত্ব মানছেন না। প্রশাসন কতৃক এলাকায় লকডাউন একটু শীতল করায় মানুষ এখন বেসামাল হয়ে পড়েছে। দুরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও এলাকায় প্রচুর সিএনজি অটোরিক্সা, ইঞ্জিন চালিত রিক্সা চলাচল করছে। মানুষ দলবেঁধে এখন বিভিন্ন মার্কেটে ঈদের কেনাকাটার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন। মহিলারাই তাদের শিশু সন্তান নিয়েই বেশিরভাগ মার্কেটগুলোতে যাচ্ছেন। ঠেলাঠেলি করে তারা মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করছেন। সেখানে সামাজিক দুরুত্বের বালাই নেই। এছাড়া বাজার, মার্কেট ও রাস্তা-ঘাটে চলাচলকারীদের বেশিরভাগ মানুষের মুখে কোন মাস্ক ও হাতে গøাপস নেই। এদিকে মার্কেটগুলোতে সামাজিক দুরুত্ব বজায় না রাখার জন্য ও সেখানে অতিরিক্ত লোক সমাগমের অপরাধে আব্দুল্লাহপুর মার্কেটটি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে গত ২৪ঘন্টায় একই পরিবারের ২ বছর ও ১২বছর বয়সী দুইসহদর ভাইবোন ও ১ স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ১০জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে এখন জিনজিরা ইউনিয়ন শীর্ষে রয়েছে। এর পরেই রয়েছে তেঘরিয়া, আগানগর ও শওভাঢ্যা ইউনিয়ন। কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল জানান,কেরানীগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে মানুষকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার জন্য নানাভাবে সচেনতামুলক অভিযান পরিচালনা করেছেন তারা। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে ঘরের বাহিরে না যেতে পারে সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করেছেন তারা। কিন্তু জিনজিরা, আগানগর, শুভাঢ্যাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বিপুল জনসংখ্যার বসবাস। এসব ইউনিয়নে বেশিরভাগ ভাসমান মানুষের চলাফেরা। তাই এসব এলাকায় করোনা সংক্রমনের হাড় বেশি। তবে এসব এলাকার মানুষ যদি নিজেরা সচেতন না হয় তাহলে এসব এলাকায় আরও বেশি আকারে মানুষের মাঝে করোনা সংক্রামন ঘটবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন