সরকার করোনা মহামারীতে মানুষকে বাঁচাতে বা সচেতনতা করতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, উল্টো লকডাউন খুলে দিয়েছে। একবার বলেন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে আবার বলেন লকডাউন চলবে। তারা মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছেন। গতকাল শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলী এলাকায় ও শ্রীনগরের বীরতারা ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার কয়েকটি ফ্লাইওভার তৈরি করে উন্নয়নে দেশ ভাসিয়ে দিচ্ছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। হাসপাতাল নেই কেন, ভেন্টিলেটর নেই কেন? করোনা রোগীদের দরকার ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন। দেশের ৯০% হাসপাতালে এ ব্যবস্থা নেই। তাহলে মানুষ বাঁচবে না মরবে? তাহলে তো মানুষ মরার কথা। সরকার মানুষ বাঁচানোর কোনো কাজ করেনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, মানুষ বাঁচানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেননি। আপনি করেছেন উন্নয়নের নামে আপনার নেতাকর্মীদের যাতে পকেট ভারী হয়। আপনার দলের নেতাকর্মীরা ক্যাসিনোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। হাসপাতাল করেননি। মানুষ বাঁচানোর জন্য উন্নত যন্ত্রপাতি আনেননি। উন্নত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় করেননি। যার মধ্য দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন হবে তা আপনারা করেননি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করে মানুষ বাঁচুক বা মরুক তাতে সরকারের কোন দায়িত্ব নেই। আমি ছেড়ে দিলাম মানুষ মরে মরুক। আর যে বাঁচবে বাঁচুক। আমি তো ঠিক আছি। আমার নেতাকর্মীরা খেয়ে দেয়ে ঠিক থাকলেই হলো।
এই হলো সরকারের অবস্থা। তাদের জীবন তো নিরাপদ আছে। জনগণের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নাই। সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মারা যাচ্ছে। সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই। ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি´র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্থানীয় বিএনপি নেতা বীরেন কুদ্দুস, আওলাদ হোসেন প্রমূখ। পরবর্তীতে তিনি পল্লবী রূপনগরে বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকে উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়া ওয়ারীতে ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সহযোগিতায় খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন