মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদিন ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন গ্রহণ করেন। অথচ এর ব্যবহার নিয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনই সতর্ক করেছিল। গত সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি ম্যালেরিয়ার ওষুধ নেয়া শুরু করেছি। গত দশদিন যাবত প্রতিদিন আমি একটি করে ট্যাবলেট খাচ্ছি। আমি এখন ভালোই আছি।’ অথচ এমন কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি যে হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর ভ‚মিকা রাখে। করোনায় লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল-রেস্টুরেন্ট শিল্প নিয়ে এক বৈঠকে ৭৩ বছর বয়সী এ প্রেসিডেন্টে আরো বলেন, ‘কি পরিমাণ মানুষ যে এ ওষুধ নেয় শুনলে আপনারা বিস্মিত হবেন। বিবিসি এ খবর জানায়। অপরদিকে আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার আল্টিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এটি করতে তারা ব্যর্থ হলে স্থায়ীভাবে সংস্থাটিতে মার্কিন তহবিল বাতিল করা হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদও পুনরায় বিবেচনা করা হবে। সোমবার সংস্থাটির প্রধানকে লেখা এক দীর্ঘ চিঠিতে নিজের এমন মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ‚মিকা যথেষ্ট নয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনকে তারা অব্যাহতভাবে অবজ্ঞা করেছে। উল্টো দফায় দফায় বেইজিং-এর প্রশংসা করেছে তারা। চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, এটা স্পষ্ট যে আপনার এবং আপনার সংস্থার দফায় দফায় ভুলের কারণে পুরো বিশ্বকে মহামারিতে চরম ম‚ল্য দিতে হচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে এসে সামনে অগ্রসর হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে, সংস্থাটিকে চীনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা। ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটন ইতোমধ্যেই সংস্থাটির সংস্কারের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে। তবে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আমাদের অপচয় করার মতো সময় নেই। বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন