বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ সময়ে অনেক দেশে ফুটবল ফিরলেও ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে যাওয়ার অনুমতি নেই। সেখানে ১৩ হাজার সমর্থকের সামনে খেলা তো অসম্ভবই। তবে সেই অসম্ভবটা বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ বাস্তব করেছেন অভিনব উপায়ে। ভক্ত-সমর্থকদের কাগজের ছবি লাগিয়ে দিয়েছেন আসনগুলোতে। দূর থেকে মনে হচ্ছিল যেন সমর্থকরাই বসে খেলা দেখছেন।
ঘটনাটি হয়েছে আগের দিন বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ও বায়ার লিভারকুসেনের ম্যাচে। মাঠে ফিরতে পারলেও সমর্থকদের সমর্থন মিস করছেন খেলোয়াড়রা। তাতে আগের মতো অনুপ্রাণিত হতে পারছেন না তারা। সে কারণেই শনিবার অদ্ভুত এ সিদ্ধান্ত নেয় মনশেনগ্লাডবাখ। এর জন্য অবশ্য ক্লাবের সমর্থকরাও দারুণ অবদান রেখেছেন। নিজেদের ছবি আসনে বসাতে প্রত্যেকে ১৭ পাউন্ড করে দান করেছেন তারা।
শুধু নিজেদের সমর্থনই রাখেনি মনশেনগ্লাডবাখ, প্রতিপক্ষ লিভারকুসেনের সমর্থকদের ছবিও ছিল সেখানে। আর এমন ব্যবস্থার পর ক্লাবটি নিজেদের টুইটারে লিখেছে, ´বরুসিয়া-পার্কে স্বাগতম। আজকে সমর্থকরা এর মধ্যেই নিজেদের আসন গ্রহণ করেছে।´
পাঁচবার বুন্ডেসলিগা জিতলেও সর্ব প্রথম শিরোপাটি তারা জিতেছিল ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে। সে মৌসুমে খেলা দলের খেলোয়াড়দের ছবিও স্থান পেয়েছে গ্যালারীতে।
তবে এমন ব্যবস্থা গ্রহণের পরও হার এড়াতে পারেনি মনশেনগ্লাডবাখ। লিভারকুসেনের কাছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় তারা।
এদিকে গতকাল শনিবার রাতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শিরোপাধারীরা। এদিনও জালের দেখা পেয়েছেন দলটির সেরা তারকা রবের্তো লেভান্দভস্কি। তাদের অন্য তিন গোলদাতা লেয়ন গোরেটস্কা, টমাস মুলার ও আলফুঁস ডেভিস।
দিনের প্রথমে উল্ফসবার্গের মাঠে ২-০ গোলে জিতে বায়ার্নের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে এনেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। স্বাভাবিকভাবে চাপ বাড়ে হান্স ফ্লিকের দলের ওপর।
তবে ম্যাচের শুরুর দিকেই জালে বল পাঠিয়ে সেই চাপ কিছুটা কমিয়ে দেন গোরেটস্কা। সপ্তদশ মিনিটে সাইডফুটে গোলটি করেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। ৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তার স্বদেশি ফরোয়ার্ড মুলার।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যান লেভানদোভস্কি। ডানদিক থেকে কিংসলে কোমানের বাড়ানো ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন এই পোলিশ ফরোয়ার্ড।
আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ২৭তম গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলে মৌসুমে তার গোল হলো ৪১টি, মাত্র ৩৫ ম্যাচ খেলে।
খানিক পর তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ম্যাচ জমিয়ে তোলেন অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার মার্টিন হিন্টেগার।
৬১তম মিনিটে জালে বল পাঠিয়ে আবারও ব্যবধান বাড়িয়ে নেন কানাডা জাতীয় দলের লেফট-ব্যাক ডেভিস। এই গোলে জয়-পরাজয়ের অনিশ্চয়তাও অনেকটা শেষ হয়ে যায়। আর ৭৪তম মিনিটে হিন্টেগারের আত্মঘাতী গোলে বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে ফেরে টানা সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও চার ড্রয়ে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। দুইয়ে থাকা ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৫৭।
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে ৩-১ গোলে জিতে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠেছে বায়ার লেভারকুজেন। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চারে নেমে গেছে মনশেনগ্লাডবাখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন